অফারে প্রতারণার জরিমানা দিল গ্রামীণফোন
ইন্টারনেট অফারে প্রতারণার দায়ে জরিমানার আড়াই লাখ টাকা পরিশোধ করল দেশের বৃহৎ বেসরকারি মোবাইল সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর জানায়, আজ বৃহস্পতিবার প্রতিষ্ঠানটির চার সদস্যদের একটি প্রতিনিধিদল জরিমানার টাকা চেকের মাধ্যমে পরিশোধ করেন।
ইন্টারনেট প্যাকেজের ‘চটকদার’ বিজ্ঞাপন দিয়ে গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণা করায় গত রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) গ্রামীণফোনকে ওই অর্থ জরিমানা করা হয় বলে এনটিভি অনলাইনকে জানিয়েছিলেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শাহীন আরা মমতাজ। তিনি জানান, এরপর জরিমানার টাকা পরিশোধের জন্য প্রতিষ্ঠানটিকে পাঁচ কার্যদিবসের সময় দেওয়া হয়েছিল।
আজ শাহীন আরা মমতাজ জানান, আজ গ্রামীণফোন সেই টাকা পরিশোধ করেছে। আগামী রোববার অভিযোগকারীকে জরিমানার ২৫ শতাংশ অর্থাৎ ৬২ হাজার ৫০০ টাকা দেওয়া হবে। অভিযোগকারী তাঁর সুবিধামতো সময়ে এসে টাকা নিতে পারবেন। বাকি টাকা সরকারি কোষাগারে যাবে।
২০১৫ সালের ১৩ অক্টোবর আবদুল্লাহ শিবলী সাদিক নামের এক ভোক্তা গ্রামীণফোনের বিরুদ্ধে অফারে প্রতারণার এ অভিযোগ করেন। তিনি লিখিত অভিযোগে বলেন, ‘আমি দারুণ ঈদ অফার নামের ২৮ দিন মেয়াদি এক জিবির সঙ্গে দুই জিবি ফ্রি একটি অফার কিনি। ভ্যাটসহ এর মূল্য ২৭৫ টাকা বলা হয়েছে।’
‘২০১৫ সালের ৩ অক্টোবরে অফারটি গ্রহণ করি। আমার কাছ থেকে ২৭৫ টাকা পরিবর্তে এসডি ও ভ্যাটসহ ৩২৫ টাকা ৭৪ পয়সা নিয়ে নেয় গ্রামীণফোন কোম্পানি। পরে একটি এসএমএসের মাধ্যমে জানানো হয়। বোনাসের মেয়াদ অর্থাৎ ফ্রি ২ জিবির মেয়াদ সাতদিন এবং ব্যবহারের সময় রাত ২টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দেওয়া হয়।’
আবদুল্লাহ শিবলী সাদিকের অভিযোগ, বিশেষ ঈদ অফারের এসএমএসে কোনো শর্তের বিষয় উল্লেখ ছিল না।
জানা যায়, এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের ৪৪ ধারায় অর্থাৎ মিথ্যা বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রতারণার অভিযোগে দুই লাখ টাকা এবং ৪৫ ধারায় অর্থাৎ প্রতিশ্রুতি পণ্য যথাযথভাবে সরবরাহ না করায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।