পাচারের শিকার ১৪৬ জনকে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত
মিয়ানমার থেকে সোমবার দেশে ফিরিয়ে আনা মানবপাচারের শিকার ১৫০ জনের যাচাই-বাছাই শেষ হয়েছে। এর মধ্যে ১২২ জনকে নিজ জিম্মায় ও ২৪ জনকে রেডক্রিসেন্টের মাধ্যমে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাকি চারজনকে যাচাই-বাছাইয়ের জন্য পুলিশের জিম্মায় রাখা হয়েছে।
urgentPhoto
আজ বুধবার সকাল ১০টার দিকে কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্র মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন এ কথা জানান।
জেলা প্রশাসক জানান, যাচাই-বাছাই শেষে ১২২ জনকে নিজ জিম্মায় ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। অপর ২৪ জন শিশু। যাদের বয়স ১৮ বছরের নিচে। তাদের আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির কাছে হস্তান্তর করা হবে। পরে সেখান থেকে তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।
জেলা প্রশাসক আরো বলেন, বাকি চারজনের মধ্যে দুজন বিদেশি নাগরিক। বাকি দুজন বিভিন্ন মামলার আসামি। তাঁদের পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
ওই চারজনের একজন মোহাম্মদ হামিদ (৩২) মানবপাচারের দালাল বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক। তবে তাঁরা রোহিঙ্গা নাকি বাংলাদেশি তা নিশ্চিত করেননি তিনি। তিনি বলেছেন, ওই চারজনের ব্যাপারে আরো যাচাই-বাছাই চলছে।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তোফায়েল আহমদ বলেন, পাচারের শিকার ব্যক্তিরা জেলাপর্যায়ে মানবপাচার আইনে মামলা করবেন।
এদিকে, ফিরিয়ে আনা ১৫০ জনের একজন চকরিয়ার বাসিন্দা একরাম হোসেন একটি মামলা করেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মতিউল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে অজ্ঞাতনামা ২০ দালালকে আসামি করে কক্সবাজার সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন একরাম।
এ দিকে দেশে ফিরিয়ে আনা ব্যক্তিদের স্বজনরা কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্র প্রাঙ্গণে ভিড় জমিয়েছেন। তাঁদের ফিরে পেতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন স্বজনরা।