বিডিআর বিদ্রোহ মামলা শুনানি ২ এপ্রিল পর্যন্ত মুলতবি
পিলখানায় বিডিআর (বর্তমান বিজিবি) বিদ্রোহে হত্যা মামলায় আসামির ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে অনুমোদনের আবেদন) ও আসামিদের আপিলের ওপর শুনানি আগামী ২ এপ্রিল পর্যন্ত মুলতবি করেছেন হাইকোর্ট।
আজ বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. শওকত হোসেনের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিশেষ হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। বেঞ্চের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার।
এর আগে ২০১৫ সালে পিলখানা হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানির জন্য বৃহত্তর বেঞ্চ গঠন করা হয়।
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি পিলখানা হত্যাকাণ্ডের মামলার যুক্তিতর্ক চলতি মাসের ২৮ ফেব্রুয়ারি শেষ করতে উভয় পক্ষকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ সারোয়ার কাজল সাংবাদিকদের বলেন, ‘আদালত উভয় পক্ষের আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শেষ করতে বলেছিলেন। আসামিপক্ষের যুক্তিতর্কও প্রায় শেষ। ল’ পয়েন্টে যুক্তিতর্ক কিছু বাকি আছে, ল’ পয়েন্টে যুক্তি উপস্থাপনে প্রস্তুতির জন্যও সময় প্রয়োজন। এ জন্য সময় আবেদন করা হয়েছিল।’ এদিন যুক্তিতর্ক শেষ হলে আদালত মামলার রায়ের জন্য দিন ধার্য করতে পারেন বলে জানান তিনি।
এ প্রসঙ্গে আসামিপক্ষের অন্যতম আইনজীবী এম আমিনুল ইসলাম এনটিভি অনলাইনকে বলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষ সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেছে। আদালত আসামিপক্ষের আইনজীবীদের উপস্থাপিত যুক্তিতর্ক লিখিতভাবে আদালতে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীতে তৎকালীন বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদর দপ্তর পিলখানায় বিদ্রোহের ঘটনা ঘটে। এতে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ওই বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি লালবাগ থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে পৃথক দুটি মামলা করা হয়। পরবর্তীকালে মামলা দুটি স্থানান্তর হয় নিউমার্কেট থানায়। হত্যা মামলায় মোট আসামি ছিল ৮৫০ জন। ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ড. মো. আখতারুজ্জামান এই হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন।