বিক্ষোভে-স্লোগানে কল্পনা চাকমাকে স্মরণ

Looks like you've blocked notifications!
অপহৃত হিল উইমেন্স ফেডারেশন নেত্রী কল্পনা চাকমা স্মরণে আজ শুক্রবার সকালে রাঙামাটিতে বিক্ষোভ মিছিল করে পার্বত্য চট্টগ্রাম মহিলা সমিতি ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন। ছবি : এনটিভি

বিক্ষোভ মিছিল আর সমাবেশে অপহরণকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে ১৯ বছর আগে অপহৃত হিল উইমেন্স ফেডারেশন নেত্রী কল্পনা চাকমাকে স্মরণ করেছে পাহাড়িরা।

আজ শুক্রবার হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সাংগঠনিক সম্পাদককে ‘অপহরণের’ দিনটিতে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেয় পার্বত্য চট্টগ্রাম মহিলা সমিতি ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন। সকালে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) কার্যালয় থেকে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কে মিছিল শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

পার্বত্য চট্টগ্রাম মহিলা সমিতির সভানেত্রী জড়িতা চাকমার সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শক্তিপদ ত্রিপুরা, শরৎ জ্যোতি চাকমা, ওয়াইচিং মারমা প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা কল্পনা চাকমার অপহরণ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে অবিলম্বে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের দাবি জানান।

জনসংহতি সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক শক্তিপদ ত্রিপুরা বলেন, সরকার চুক্তি বাস্তবায়ন না করে পার্বত্য জেলা পরিষদ ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদকে অথর্ব প্রতিষ্ঠানে পরিণত করে রেখেছে। চুক্তির যথাযথ বাস্তবায়ন না হওয়ায় এসব প্রতিষ্ঠান কার্যকর ও শক্তিশালী হতে পারছে না বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

জনসংহতি সমিতির শীর্ষ এ নেতা আরো বলেন, জনসংহতি সমিতি এখনো তাদের অসহযোগ আন্দোলন শুরু করেনি। চুক্তি বাস্তবায়নে সরকার কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে জনসংহতি সমিতি অসহযোগ শুরু করলে এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম অচল হয়ে পড়লে এর দায় সরকারকেই নিতে হবে।

১৯৯৬ সালের ১২ জুন বাঘাইছড়ি উপজেলার নিউ লাল্যাঘোনা গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে অপহৃত হন তৎকালীন অবিভক্ত হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক কল্পনা চাকমা। এ ঘটনায় তাঁর বড় ভাই মামলা করেন। ওই মামলা এখনো রাঙামাটি জেলা জজ আদালতে নিয়মিত শুনানি হচ্ছে। সর্বশেষ  মামলার পুনঃতদন্তকারী কর্মকর্তা রাঙামাটির সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) আমেনা বেগম একটি অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করেন, যা প্রত্যাখ্যান করেছে হিল উইমেন্স ফেডারেশন।