নাম প্রত্যাহার করলেন বান্দরবান জেলা বিএনপির ১২ নেতা
কেন্দ্রঘোষিত বান্দরবান জেলা বিএনপির আংশিক কমিটি থেকে নাম প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন ১২ নেতা। আজ শনিবার বিকেলে শহরের চৌধুরী মার্কেটের সংগঠনের অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা এ ঘোষণা দেন।
গত বৃহস্পতিবার বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-দপ্তর সম্পাদক মো. তাইফুল ইসলাম টিপু স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সাবেক নারী সংসদ সদস্য মাম্যাচিং মারমাকে সভাপতি এবং পৌরসভার সাবেক মেয়র মোহাম্মদ জাবেদ রেজাকে সাধারণ সম্পাদক করে জেলা বিএনপির ২১ সদস্যবিশিষ্ট আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়।
নাম প্রত্যাহার করে নেওয়া বিএনপি নেতারা হলেন, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান, সদর উপজেলার চেয়ারম্যান আবদুল কুদ্দুছ, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি আবদুস শুক্কুর, লামা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আমির হোসেন, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা বিএনপির সভাপতি নূরুল আলম, আলীকদম উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল কালাম, জেলা কৃষক দলের সভাপতি মোহাম্মদ ইসলাম, লামা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক থোয়াইনু অং চৌধুরী, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মুজিবুর রশীদ, সাবেক প্রচার সম্পাদক সাশৈপ্রু, বিএনপি নেতা রুই প্রু অং, হাজি নাজমুল ইসলাম। তবে প্রত্যাহারের কাগজে স্বাক্ষর থাকলেও অনেকে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন না।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান বলেন, ‘কেন্দ্রঘোষিত বান্দরবান জেলা বিএনপির কমিটি গঠনতন্ত্র মোতাবেক করা হয়নি। তৃণমূলের সিদ্ধান্তকে পাশ কাটিয়ে কেন্দ্রঘোষিত জেলা কমিটি আমরা মানি না। এ কারণে আমরা ঘোষিত কমিটি থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছি।’ সংগঠনের স্বার্থে সদ্য ঘোষিত কমিটি স্থগিত করা এবং আগের কমিটি বহাল করে তৃণমূলের মতামতকে প্রাধান্য দিয়ে ভোটের মাধ্যমে কমিটি গঠনের দাবি জানান তিনি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে আজিজুর রহমান বলেন, ‘জেলা বিএনপির সভাপতি মাম্যাচিং ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জাবেদ রেজার যোগ্যতা, জনপ্রিয়তা নিয়ে আমাদের কোনো অভিযোগ নেই। কিন্তু গঠনতন্ত্র অনুসরণ করে কমিটি গঠন করা হয়নি। আমাদের আপত্তি সেখানেই। তবে তিনি দায়িত্বে থাকা অবস্থায় পছন্দের ব্যক্তিদের সংগঠনের দায়িত্বশীল পদে বসানোর অভিযোগ অস্বীকার করেন।
এদিকে, লামা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আমির হোসেন ও আলীকদম উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল কালাম বলেন, ‘সদ্য ঘোষিত জেলা বিএনপির ২১ সদস্যবিশিষ্ট আংশিক কমিটিতে আমাদের নাম আছে বলে জানতে পেরেছি। আমরা জেলা কমিটি থেকে নাম প্রত্যাহার করছি। তবে উপজেলা বিএনপির দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করিনি। কেন্দ্র আমাদের আবেদন বিবেচনা করলে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেব।’
সদর উপজেলার চেয়ারম্যান আবদুল কুদ্দুছ বলেন, ‘আপাতত নতুন কমিটিতে নাম আছে এমন ১২ জন আমরা নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছি। কেন্দ্রে নাম প্রত্যাহারের আবেদনপত্র পাঠিয়েছি। তবে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সাচিং প্রু জেরী দেশে ফিরলে সভা ডেকে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’