বিকাশের মাধ্যমে প্রতারণা, দুই তরুণ রিমান্ডে
বিকাশের মাধ্যমে প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেপ্তার দুই তরুণকে দুদিন করে রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) গতকাল সোমবার ভোররাতে রাজধানীর শাহজাহানপুর এলাকা থেকে ওই দুই তরুণকে আটক করে। পরে গতকালই ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে তাঁদের হাজির করে পাঁচদিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম দুদিনের রিমান্ড দেন।
রিমান্ডে নেওয়া দুই তরুণ হলেন মোমিন মৃধা (১৯) ও হাসিবুল হাসান ফাহিম (১৯)। তাঁরা দুজনই দীর্ঘদিন ধরে মুঠোফোনের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতারণা করে আসছেন বলে জানিয়েছে সিআইডি।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের কাছ থেকে পাঁচটি মুঠোফোন, ১৩টি সিমকার্ড, তিনটি ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র এবং বিভিন্ন নামের চারটি জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি উদ্ধার করেছে সিআইডি।
সোমবার বেলা আড়াইটার দিকে রাজধানীর মালিবাগে অবস্থিত সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মির্জা আবদুল্লাহেল বাকী।
বাকী জানান, গত ১০ জানুয়ারি মেডিকেল কলেজের এক ছাত্রীর কাছে বিকাশের মাধ্যমে কিছু টাকা আসে। এর কিছুক্ষণ পর তাঁর মুঠোফোনে বিকাশের ‘ক্যাশ ইন’ নামে একটি ভুয়া মেসেজ আসে। সেটি বিকাশ থেকে পাঠানো মেসেজের মতোই ছিল। কিছুক্ষণ পর প্রতারকচক্রের সদস্য ওই ছাত্রীকে ফোন করে জানায়, ভুলবশত তার মুঠোফোনে বেশি টাকা পাঠানো হয়েছে। এরপর টাকা ফেরত পাঠাতে বলা হয়। প্রতারকদের কথা বিশ্বাস করে টাকা ফেরত পাঠান ওই ছাত্রী। পরে বিকাশ অ্যাকাউন্ট চেক করে দেখেন, তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে সব টাকা চলে গেছে।
এভাবে আসামিরা মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা আত্মসাৎ করে আসছিলেন বলে জানান সিআইডি কর্মকর্তা। তিনি জানান, ওই ঘটনার পর শাহজাহানপুর থানায় গত ১২ জানুয়ারি একটি মামলা করা হ্য়। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে দুই প্রতারককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বাকী আরো জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানিয়েছেন, তাঁদের চক্রের একজন সদস্য বিভিন্ন বিকাশ এজেন্টের দোকানের সামনে ওঁত পেতে দাঁড়িয়ে থাকে। সে বিভিন্ন ব্যক্তির নম্বরে বিকাশের মাধ্যমে পাঠানো টাকার তথ্য ও ফোন নম্বর সংগ্রহ করে। পরে সেসব নম্বরে বিকাশের ভুয়া বার্তা পাঠিয়ে তারা প্রতারণা করে থাকে।