স্কুলছাত্রী ধর্ষণের ভিডিও ইন্টারনেটে, একজন গ্রেপ্তার
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের এক মাস পর ধারণ করা ভিডিও ইন্টারনেটে ছাড়ার অভিযোগে আবদুল আওয়াল নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ওই ছাত্রীর মামা জানান, গত শুক্রবার ইন্টারনেটে ভিডিও দেখে তাঁর বোনকে (ছাত্রীর মা) জানান। পরে তাঁর ভাগ্নিও ধর্ষণের কথা স্বীকার করে। তিনি জানান, কাল সন্ধ্যায় তাঁর বোন দুজনকে আসামি করে মানিকগঞ্জ সদর থানায় মামলা করেন। মামলার দুই আসামি হলেন আবদুল আওয়াল (৩১) ও তাঁর সহকর্মী ওয়াসিম হোসেন (৩৫)। মামলার পর রাতেই প্রধান আসামি আওয়ালকে ভিডিও ক্লিপসহ গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ওই স্কুলশিক্ষার্থী জানায়, আওয়ালের স্ত্রী ও সাত বছরের এক মেয়ে রয়েছে। আওয়াল ও ওয়াসিম একসঙ্গে থাই অ্যালুমিনিয়ামের কাজ করেন। গত ১০ মে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ফুসলিয়ে ওয়াসিমের বাসায় তাকে বেড়াতে নিয়ে যান আওয়াল। সেখানে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন আওয়াল। আর ওয়াসিম মোবাইল ফোনে ধারণ করেন ধর্ষণের এই ভিডিও দৃশ্য। ওই সময় এ ঘটনা কাউকে বললে তাকে (স্কুলশিক্ষার্থী) মেরে ফেলা হবে এবং ভিডিও ইন্টারনেট ও এলাকায় ছড়িয়ে দেওয়ার ভয়ভীতি দেখান তাঁরা। এ কারণে ধর্ষণের ঘটনা চেপে যায় সে।
স্কুলছাত্রী আরো জানায়, একইভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে আওয়াল কয়েকবার তাকে ওই বাসায় নিয়ে ধর্ষণ করে এবং সাদা স্ট্যাম্পে জোর করে স্বাক্ষর নেন।
ওই ছাত্রীর মা জানান, গত শুক্রবার তাঁর ভাই (স্কুলশিক্ষার্থীর মামা) ধর্ষণের ভিডিও ক্লিপটি ইন্টারনেটে দেখে স্বজনদের বলেন। এ ঘটনায় গতকাল মানিকগঞ্জ সদর থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দেন তিনি। সেটিই পরবর্তী সময়ে মামলা হিসেবে নেয় পুলিশ।
মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুর রহমান জানান, অভিযোগ পেয়েই অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামিকে ভিডিও ক্লিপটিসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। আজ সোমবার মেয়েটির স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালে পাঠানো হবে। আর আওয়ালকে আদালতে পাঠানো হবে।

আহমেদ সাব্বির সোহেল, মানিকগঞ্জ