কুমিল্লায় বিএনপির সাক্কুর জয়

Looks like you've blocked notifications!
ছবি : ফোকাস বাংলা

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে মেয়র পদে বিএনপির প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি প্রায় ১১ হাজার ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন।

নির্বাচনের মোট ১০৩টি কেন্দ্রের মধ্যে ১০১টি কেন্দ্রের বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। দুটি কেন্দ্রের ফলাফল স্থগিত রয়েছে। এ দুটি কেন্দ্রের মোট ভোট বিজয়ী প্রার্থীর ভোটের ব্যবধানের চেয়ে কম।

১০১ কেন্দ্রের ফলাফলে বিএনপির প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ৬৮ হাজার ৯৪৮ ভোট আর নৌকা মার্কার প্রার্থী আঞ্জুম সুলতানা সীমা পেয়েছেন ৫৭ হাজার ৮৬৩ ভোট।

আজ বৃহস্পতিবার দিনভর ভোট শেষে সন্ধ্যার পর থেকে অস্থায়ী কার্যালয় থেকে কেন্দ্রভিত্তিক ফলাফল ঘোষণা করছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা রকিব উদ্দিন মণ্ডল।

এর মধ্যে স্থগিত হওয়া ৮১ নম্বর কেন্দ্র কুমিল্লা সরকারি সিটি কলেজের মোট ভোট দুই হাজার ৭৭২ ভোট এবং ১০১ নম্বর কেন্দ্র চৌয়ারা ইসলামিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার মোট ভোটার দুই হাজার ৪৮৩ ভোট। এ দুটি কেন্দ্রের মোট ভোটার পাঁচ হাজার ২৫৫। অপরদিকে সাক্কু বিজয়ী হয়েছেন প্রায় ১১ হাজার ভোটের ব্যবধানে। ফলে এ দুটি কেন্দ্রের ভোট ছাড়াই তিনি বিজয়ী হয়েছেন।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, সিটি করপোরেশনে মোট ভোটার সংখ্যা দুই লাখ সাত হাজার ৫৬৬ জন। এর মধ্যে নারী ভোটারের সংখ্যা বেশি। ওই সিটিতে নারী ভোটারের সংখ্যা এক লাখ পাঁচ হাজার ৪৪৭ জন। পুরুষ ভোটারের সংখ্যা এক লাখ দুই হাজার ১১৯ জন।

নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রার্থী ছাড়াও লড়েছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি)  শিরিন আক্তার ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মামুনুর রশীদ। এ ছাড়া কাউন্সিলর প্রার্থী লড়েছেন ১১৪ ও সংরক্ষিত কাউন্সিল প্রার্থী ৪১ জন।

২০১১ সালে দুটি পৌরসভাকে এক করে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন ঘোষণা করা হয়। এর পরের বছরই অনুষ্ঠিত হয় সিটির প্রথম নির্বাচন।

ওই নির্বাচনে মনিরুল হক সাক্কু আওয়ামী লীগ সমর্থিত আফজল খানকে পরাজিত করেন। বিলুপ্ত পৌরসভারও চেয়ারম্যান ছিলেন মনিরুল হক সাক্কু।

এবার আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মেয়র পদে লড়েন আফজল খানের মেয়ে ও সিটির সাবেক কাউন্সিলর আঞ্জুম সুলতানা সীমা। তিনি বিলুপ্ত পৌরসভার প্যানেল চেয়ারম্যান ছিলেন।

নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে মঙ্গলবার সকাল থেকে নগরীজুড়ে টহলে নামেন বিজিবি সদস্যরা। নির্বাচনী কেন্দ্রগুলোতে এক হাজার ৬৭৮ জন পুলিশ, এক হাজার ২৩৬ জন আনসার, ৪৮০ জন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি), র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) ৩২২ সদস্য মোতায়েন করা হয়। সেই সঙ্গে  বিচারিক হাকিম নয়জন, নির্বাহী হাকিম নিয়োজিত ছিলেন ৩৬ জন।

এর মধ্যেই ভোট চলাকালে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ৮১ নম্বর কেন্দ্র কুমিল্লা সরকারি সিটি কলেজ কেন্দ্রে বিএনপির কাউন্সিলর প্রার্থীকে মারধর ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এরপর ওই কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়। পরে স্থগিত করা হয় ১০১ নম্বর কেন্দ্র চৌয়ারা ইসলামিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসা কেন্দ্রটি।