পয়লা বৈশাখে যা যা নিষেধ
নিরাপত্তার জন্য এবারের পয়লা বৈশাখের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানমালাকে কেন্দ্র করে বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এগুলোর মধ্যে রয়েছে মঙ্গল শোভাযাত্রায় মুখোশ হাতে রাখতে হবে। বিকেল ৫টার পর উন্মুক্ত স্থানে কোনো অনুষ্ঠান করা যাবে না। মোটরসাইকেলে চালক ছাড়া কেউ চড়তে পারবে না। পিঠে বা কাঁধে কোনো ব্যাগ বহন করা যাবে না।
আজ সোমবার বিকেলে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে এসব সিদ্ধান্তের কথা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
আগামী ১৪ এপ্রিল ঢাকাসহ সারা দেশে যেসব অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষ উদযাপিত হবে তার মধ্যে অন্যতম আয়োজন মঙ্গল শোভাযাত্রা। ঢাকা বিশ্বিবদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট আয়োজিত এই শোভাযাত্রায় সার্বিক নিরাপত্তা দেবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নিরাপত্তার জন্য থাকবে বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ‘মঙ্গল শোভাযাত্রায় যাঁরা অ্যাটেন্ড করবেন, তাঁরা প্রথম থেকে অ্যাটেন্ড করবেন। মাঝখান থেকে কেউ ভেতরে ঢুকবেন না। হাতে প্ল্যাকার্ডের মতো মুখোশটাকে নিয়ে অংশগ্রহণ করতে হবে। ভুভুজেলা বাজানো একদম নিষেধ। সিকিউরিটি রিজনে এসব বিধি-নিষেধ আমরা আরোপ করছি। কোনো আশঙ্কা নেই।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি রমনা ও রবীন্দ্র সরোবর এলাকায় ইভটিজিংসহ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ঠেকাতে থাকবে সিসিটিভি, ওয়াচ টাওয়ার, পুলিশ কন্ট্রোল রুমসহ নানা ব্যবস্থা। অন্যান্যবারের মতো বিকেল ৫টার পর উন্মুক্ত স্থানে কোনো অনুষ্ঠান করা যাবে না। সেই সঙ্গে ব্যাগ বহন এবং মোটরসাইকেলে আরোহীসংখ্যাও নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী এ ব্যাপারে সজাগ থাকবে। বিকেল ৫টার পরে উন্মুক্ত স্থানে কোনো অনুষ্ঠান যাতে না হয়, সেদিকে তারা নজর রাখবে। কোনোক্রমেই আমরা পয়লা বৈশাখে একজনের বেশি আরোহীকে মোটরসাইকেলে চলতে দেব না। শুধু চালক। আরোহী নিয়ে যেতে পারবেন না।’
ব্যাগের ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মেয়েদের ভ্যানিটি ব্যাগ এই আওতায় আসবে না। আমি বলছি, ঘাড়ে করে যে ব্যাগ নিয়ে চলেন বা হাতে করে যে ব্যাগগুলোতে পণ্য বা অন্য কিছু বহন করেন, সেগুলোর ব্যাপারে বিধিনিষেধ রইল।’
এ ছাড়া সারা দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য স্থানে বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। আর রাজধানীতে ওই দিন যানবাহন নিয়ন্ত্রণসহ অন্যান্য সিদ্ধান্তের কথা পরবর্তী সময়ে জানিয়ে দেবে ঢাকা মহানগর পুলিশ।
অনুষ্ঠানে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া, র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের মহাপরিচালক মো. আনোয়ার হোসেনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।