ছাত্রলীগকর্মীর দোকান থেকে অস্ত্র উদ্ধার, আটক ৩

সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলায় এক ছাত্রলীগকর্মীর দোকান থেকে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আটক করা হয়েছে তিন আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ সমর্থককে। শনিবার বিকেলে উপজেলা সদরের গোবিন্দগঞ্জ পয়েন্ট এলাকা থেকে তাঁদের আটক করা হয়।
তাঁরা হলেন গোবিন্দগঞ্জ লেগুনা স্ট্যান্ডের ব্যবস্থাপক ও আওয়ামী লীগকর্মী হাজি আমির আলী, ছাত্রলীগকর্মী নূর উদ্দিন ও সেলিম আহমেদ। অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে হাজি আমির আলীর ছেলে ছাত্রলীগকর্মী আবদুল রহিমের মালিকানাধীন গোবিন্দগঞ্জ পয়েন্টের ইতি টেলিকম সেন্টার থেকে। তাঁরা গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের দীঘলি-চাকলপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। নূর উদ্দিনের বাড়িও একই গ্রামে। সেলিমের বাড়ি পাশের দীঘলি গ্রামে।
ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুনুর রশীদ চৌধুরী এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘বৃহস্পতিবার দুপুরে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের ঘটনায় আহত তজম্মুল হক রিপন বাদী হয়ে শুক্রবার হাজি আমির আলীকে প্রধান আসামি করে দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা করেন। আজ বিকেলে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।’
পরে সন্ধ্যায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাছুম বিল্লাহর নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা হাজি আমির আলীর ছেলের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে একটি শটগান, পাঁচটি রামদা, ১০টি লোহার পাইপ ও ১৪টি কাঠের রোল উদ্ধার করে। দোকানটি তালাবদ্ধ করে দেওয়া হয়।
যদিও ছাতক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা অলিউর রহমান চৌধুরী বকুল শনিবার রাতে এ প্রতিনিধিকে ফোন করে দাবি করেন, ‘হাজি আমির আলী বিএনপি নেতা।’