চট্টগ্রাম-দোহাজারী রেলপথ চালু হতে আরো তিন দিন
রেলপথমন্ত্রী মুজিবুল হক বলেছেন, ‘বর্তমানে অস্থায়ী কাঠামোর পুনর্নির্মাণের কাজ চলমান। অস্থায়ী কাঠামো এবং এর ওপর রেলপথ পুনর্নির্মাণের পর লাইনচ্যুত ইঞ্জিন এবং ভূমিতে থাকা ওয়াগনগুলো উদ্ধার করা হবে। উদ্ধারকাজ সমাপ্ত করে এ পথে ট্রেন যোগাযোগ পুনরায় চালু করতে আর তিন দিন সময় লাগবে।’
চট্টগ্রামের বোয়ালখালী বেঙ্গুরা এলাকায় ভেঙে যাওয়া সেতু প্রসঙ্গে আজ রোববার জাতীয় সংসদে দশম সংসদের দ্বিতীয় বাজেট অধিবেশনে রেলপথমন্ত্রী এসব কথা বলেন। গত শুক্রবার বেঙ্গুরা এলাকায় রেলওয়ের একটি সেতু ভেঙে ইঞ্জিনসহ তেলবাহী ট্রেনের তিনটি ওয়াগন খালে পড়ে যায়। চট্টগ্রাম-দোহাজারী রেললাইনের বোয়ালখালী বেঙ্গুরা ও পটিয়ার দলঘাট এলাকার ২৪ নম্বর সেতুতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মুজিবুল হক বলেন, ‘অস্থায়ী কাঠামো হতে ওয়াগন সরানোর পর পরই কাঠামোর পুনর্নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘দুর্ঘটনাস্থল সেতুর ওপর হওয়ায় রেল যোগাযোগ পুনঃস্থাপন ও উদ্ধার কার্যক্রমে অতিরিক্ত সময় প্রয়োজন হচ্ছে।’
মুজিবুল হক বলেন, ‘ইতিমধ্যে সেতুটি পুনর্নির্মাণের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। সেতুটির কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বেশ কিছুদিন ধরে অস্থায়ী কাঠামোর ওপর দিয়ে সীমিত গতিতে ট্রেন চলাচল করছিল।’
রেলপথমন্ত্রী বলেন, ‘দুর্ঘটনায় পতিত ট্যাংক ওয়াগন নং বিটিকে-৬০০০১, বিটিকে-৬০২৪৬ ও বিটিকে-৬০১৯২ হতে কিছু ফার্নেস অয়েল খালের পানিতে পড়ে যায়। খালের পানিতে পড়ে যাওয়া তেল যাতে চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়তে না পারে সে জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের পরামর্শ মতে তেল অপসারণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। দুর্ঘটনার পর পরই কিছু তেল আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে, যা অপসারণের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের সহায়তা চাওয়া হয়েছে।’
মুজিবুল হক বলেন, ‘দুর্ঘটনার পর পরই দায়িত্বে অবহেলার জন্য সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল হালিম ও ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী (সেতু) আকবর আহমেদ ফেরদৌসকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। দুর্ঘটনা তদন্তের জন্য তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া বিভাগীয় প্রকৌশলী-১ চট্টগ্রামকে আহ্বায়ক করে আরো একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি দুটি পাঁচ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন পেশ করবে।’ প্রতিবেদন পেয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রী।