পরিবারের অভিযোগ

ডিবি পরিচয়ে ডেকে নিয়ে হত্যা

Looks like you've blocked notifications!

পুলিশ বলছে, চরমপন্থী বাহিনীর প্রধান আলফু ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। আর পরিবার দাবি করছে, গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিচয়ে সাদা পোশাকে ঘুম থেকে তাঁকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়।  পরে তাঁর মৃত্যুর খবর পান তাঁরা।

মাগুরায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আলফু বিশ্বাস (৪০) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। গতকাল রোববার দিবাগত রাত সোয়া ২টার দিকে মাগুরা সদর উপজেলার মাগুরা-ঝিনাইদহ মহাসড়কের রাউতাড়া কলেজিয়েট স্কুলের পাশে বটতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এ বিষয়ে মাগুরার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) সুদর্শন কুমার রায় জানান, রাউতাড়া কলেজিয়েট স্কুলের পাশে বটতলায় ডাকাতির প্রস্তুতি চলছে—এ খবর পেয়ে ওই এলাকায় পুলিশ অভিযান চালায়। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে সন্ত্রাসীরা গুলি ছুড়লে পুলিশও পাল্টা ১০-১২টি গুলি ছোড়ে। এ সময় ডাকাত দল পিছু হটে। পরে ওই এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে বাহিনীপ্রধান আলফু বিশ্বাসকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। মাগুরা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

আলফুর কাছ থেকে একটি ওয়ান শুটার গান, একটি রামদা ও দুটি গুলি পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছে পুলিশ। নিহত আলফু আট বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসমি। তাঁর বিরুদ্ধে মাগুরা-ঝিনাইদহ থানায় হত্যা, খুনসহ চারটি মামলা রয়েছে বলেও দাবি পুলিশের।

সুদর্শন কুমার রায় আরো জানান, আলফু সদর উপজেলার পাকা খদ্ধ গ্রামের বাসিন্দা। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মাগুরা সদর থানা থেকে হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে।

এদিকে, নিহত আলফুর পরিবারের দাবি, বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে কথিত বন্দুকযুদ্ধে হত্যা করা হয়েছে। তাঁর ভাই রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ১১টার ভেতরে ডিবি পরিচয়ে লোকজন নিজ বাড়ি থেকে আলফুকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে নিয়ে যায়। এর পর থেকে সারা দিন আর তাঁর কোনো খোঁজ পাইনি। তবে জানতে পারি যে ডিবি অফিসে ছিল। তার পর থেকে তাঁর কোনো খোঁজ জানি না। তবে যখন তাঁকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে আসছে, তখন তাঁর কাছে কোনো অস্ত্র ছিল না।’ এর পর ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ভাইয়ের মৃত্যু খবর শোনেন তিনি।