কুড়িগ্রামে ভারতীয় বন্য হাতির তাণ্ডব, রাতে আতঙ্ক

কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলা সীমান্তবর্তী এলাকায় রাতে ভারতীয় বন্য হাতির দল প্রবেশ করে ধান, সবজি, কালাই ক্ষেতসহ বিভিন্ন ফসলি জমিতে তাণ্ডব চালিয়েছে। রাতে বাড়িঘরে বন্য হাতির হামলার আশঙ্কায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে গ্রামবাসী।
স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত রোববার রাত ৮টার দিকে ভারতের কালাইয়ের চরপাহাড়ি এলাকা থেকে ৫০-৬০টি ভারতীয় বুনো হাতির একটি দল ১০৭২ আন্তর্জাতিক সীমানা পিলারের পাশ দিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে রৌমারী উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের আলগার চর এলাকায় প্রবেশ করে। আলগার চর সীমান্তে প্রবেশ করে ফসলের ক্ষতি করতে করতে ৩০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে পড়ে।
হাতি প্রবেশ করায় সীমান্ত এলাকার মানুষ ঘরবাড়ি ও জানমালের ক্ষতির আশঙ্কায় রাতে আগুন জ্বালিয়ে ও ঢাকঢোল পিটিয়ে হাতি তাড়ানোর চেষ্টা করে। ভোরে হাতির দলটি সীমানা পেরিয়ে ভারতের অভ্যন্তরে ফিরে যায়।
এ বিষয়ে যাদুরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শরবেশ আলী জানান, ভারতের কালাই চরপাহাড়ি এলাকা থেকে হাতির দল নেমে এলে কাঁটাতারের বেড়ার ওপর হামলার আশঙ্কায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ কাঁটাতারের গেট খুলে দেয়। এতে বন্য হাতির দল সহজে বাংলাদেশের ভেতর প্রবেশ করে ফসল ও ঘরবাড়ির ক্ষতি করে ফিরে যায়।
বন্য হাতির প্রবেশ ঠেকাতে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সহযোগিতা যান শরবেশ আলী।
রৌমারী উপজেলা বন কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন জানান, পাহাড়ে খাদ্য সংকট দেখা দিলে বন্য হাতির দল লোকালয়ে নেমে আসে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে ফসলের ক্ষতি করে। গ্রামবাসীকে আগুন জ্বালিয়ে ও ঢাকঢোল পিটিয়ে হাতি তাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
গত ফেব্রুয়ারিতে কয়েক দফায় ভারতীয় হাতির দল রৌমারী সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে জমির ভুট্টা, আখ, গম ও সরিষা ক্ষেতসহ ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি করেছিল। ভারতীয় এসব হাতির দল সন্ধ্যার পর সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ফসলের ক্ষতি করে ভোররাতে ভারতের অভ্যন্তরে ফিরে যায়।