রাজধানীর জলাবদ্ধতার জন্য ওয়াসাকে দায়ী করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। তিনি বলেছেন, ‘জলাবদ্ধতা দূর করার দায়িত্ব ওয়াসার। কিন্তু তারা এতটুকু কাজ করে না।’

ঢাকা শহরের উন্নয়নের জন্য ৫৬টি সংস্থা জড়িত বলে জানান মেয়র সাঈদ খোকন। তিনি বলেন, ‘এক সময় বৃষ্টি হলে মেয়ররা শুয়ে রবীন্দ্র সংগীত শুনতেন। কিন্তু এখন আর সে সময় নেই। ঢাকাকে বাসযোগ্য করে গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে আমাকে বৃষ্টির সময় ব্যস্ত থাকতে হয়। এ ছাড়া উন্নয়ন কাজের জন্য এসব সংস্থাকে সময় দিতে হয়।’

আজ মঙ্গলবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) আয়োজিত ঢাকা উৎসব অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী বক্তব্যে মেয়র সাঈদ খোকন এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে আয়োজন করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিতর্ক সংসদ।

অনুষ্ঠানে ঢাকা ওয়াসাকে ব্যর্থ সংস্থা বলে অভিহিত করে মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, ‘ওয়াসা হাজার হাজার কোটি টাকা নিয়ে ব্যস্ত। আর একটি নর্দমা ঠিক করতে কয়েক হাজার টাকাও লাগে না। ঢাকা শহরে বৃষ্টি হলে বিভিন্ন জায়গায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এই জলাবদ্ধতা দূর করার দায়িত্ব ওয়াসার। কিন্তু তারা এতটুকু কাজ করে না।’

ওয়াসাকে সিটি করপোরেশনের আওতাধীন অথবা ওয়াসার নেতৃত্বে পরিবর্তন আনতে সরকারের কাছে আহ্বান জানান মেয়র।

মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, পৃথিবীর অন্যান্য শহরের তুলনায় ঢাকা শহরের অনেক উন্নতি হয়েছে। এ শহরকে বাসযোগ্য করে তুলতে হলে সব নাগরিককে একেকজন মেয়রের ভূমিকা পালন করতে হবে। তিনি আরো বলেন, ‘ঢাকা শহরকে বাসযোগ্য করে তোলার জন্য আমাদের ব্যাপক কর্মসূচি রয়েছে। আমরা ২০১৭ সালের মধ্যে ১২টি খেলার মাঠ ও ১৯টি পার্ক নতুন করে সাজিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছি। জনগণের জন্য ১০০টি পাবলিক টয়লেট তৈরি করারও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাতে যানজট কমিয়ে আনার জন্য বাইসাইকেল লেন তৈরি করে দেওয়ার আশ্বাস দেন মেয়র সাঈদ খোকন। তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি উপাচার্য স্যারের সঙ্গে কথা বলেছি। এর মাধ্যমে ছাত্ররা নিরাপদে যাতায়াত করতে পারবে। এ ছাড়া এ এলাকাতে পাবলিক টয়লেটও করে দেওয়া হবে।’

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মো. বিল্লাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিতর্ক সংসদের মডারেটর ড. মাহবুবা নাসরিন প্রমুখ।