প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,  ‘আমি আইনমন্ত্রীকে বলেছি, প্রয়োজনে ট্রাইবুন্যাল না হলেও বিশেষ কোর্ট নির্দিষ্ট করে দেওয়ার জন্য যেখানে এ ধরনের ঘটনার (নাশকতামূলক) সাথে জড়িতদের যেন বিচার করা হয়। কারণ তাদের বিচার দ্রুত হওয়া উচিত। এ ধরনের নাশকতা কখনো মেনে নেওয়া যায় না।’ 

প্রধানমন্ত্রী আজ দশম জাতীয় সংসদের পঞ্চম অধিবেশনে এ কথা বলেন। নাশকতার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিচারে কোনো বিশেষ ট্রাইবুন্যাল হবে কি না সাংসদ আবদুর রউফের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নৃশংসভাবে বাংলার মানুষকে যেভাবে খুন করেছে এ হত্যাযজ্ঞ সেই একই ধরনের। তিনি আরো বলেন, ‘সম্প্রতি আইএসআইএস যে পদ্ধতিতে আগুনে পুড়িয়ে মানুষ হত্যা  করছে, বিএনপি- জামায়াত জোটও একই পদ্ধতিতে মানুষ হত্যা করছে। এতে বোঝা যায়, এ হত্যাকাণ্ডের সাথে সুদূর প্রসারী পরিকল্পনা রয়েছে।’

জেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলোতে বার্ন ইউনিট চালুর ব্যাপারে বিরোধীদলীয় নেত্রী  রওশন এরশাদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রত্যেক বিভাগে, মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও  জেলা হাসপাতালে বার্ন ইউনিট করার পদক্ষেপ নিয়েছি। পাশাপাশি কুর্মিটোলা হাসপাতালে বার্ন ইনস্টিটিউট গড়ে তুলব।’  

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আগুন লাগার সাথে সাথে মানুষের শ্বাসনালি পুড়ে যায়। সে চিকিৎসা ব্যবস্থাটা আমাদের বার্ন ইউনিটে নেই। এর জন্য একটা বিশেষ যন্ত্র কিনতে হবে। আমরা ইতিমধ্যে ছয় কোটি টাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছি বার্ন ইউনিটকে। তিনি আরো বলেন, ‘যারা আগুনে পুড়ে গেছে তাদের ড্রেসিং করার জন্য একটা বিশেষ ধরনের (বেড) বিছানা পাওয়া যায়। সেটা কিনতে তিন কোটি টাকা প্রয়োজন। ইতিমধ্যে সে তিন কোটি টাকাও বার্ন ইউনিটকে দেওয়া হয়েছে। এগুলো দ্রুত চলে আসবে এবং চিকিৎসা উন্নত মানের হবে।’