কারাগারে ‘বইয়ের অভাবে’ পরীক্ষা দিতে পারেননি ঐশী

Looks like you've blocked notifications!

পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) পরিদর্শক মাহফুজুর রহমানকে সস্ত্রীক হত্যার মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত তাঁদের মেয়ে ঐশী রহমান দীর্ঘদিন ধরে কারাগারে রয়েছেন। ইংরেজি মাধ্যমের এই ছাত্রীর কারাগারে বসেই ও-লেভেল পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেখানে পর্যাপ্ত বইয়ের অভাবে শেষ পর্যন্ত পরীক্ষায় বসতে পারেননি তিনি।

ঐশীর আইনজীবী মাহবুবুর হাসান রানা এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি জানিয়েছেন।

রানা জানান, ঐশীর ও-লেভেল পরীক্ষার জন্য কারাগারে বই সরবরাহ করতে ২০১৪ সালের ১৯ জানুয়ারি আদালতে আবেদন করা হয়। সে সময় ঢাকার মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূর কারাগারে বই সরবরাহের নির্দেশ দেন। কিন্তু পর্যাপ্ত বই না থাকায় ওই বছরের জুনে অনুষ্ঠিত ও-লেভেল পরীক্ষা দিতে পারেননি ঐশী।

এ বিষয়ে ঐশীর চাচা ও মামলার বাদী মশিউর রহমান এনটিভি অনলাইনকে জানান, কারাগারে বইয়ের অভাবে ঐশী ও-লেভেল পরীক্ষার দুটি বিষয়ে পরীক্ষা দিতে পারেনি। তাই তার পরীক্ষাটি অসম্পূর্ণই রয়ে গেছে।

তিনি আরো বলেন, ‘আজ (রোববার) শুনেছি হাইকোর্ট থেকে ঐশীর রায় দেবে। আমি চাই, ঐশী যেন খালাস পায়।’

২০১৩ সালের ১৬ আগস্ট রাজধানীর মালিবাগের ফ্ল্যাট থেকে মাহফুজুর রহমান ও তাঁর স্ত্রীর ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়।

পরদিন মাহফুজের ভাই মশিউর রহমান এ ঘটনায় পল্টন থানায় হত্যা মামলা করেন। ওই দিনই ওই দম্পতির মেয়ে কিশোরী ঐশী পল্টন থানায় আত্মসমর্পণ করে।

২০১৪ সালের ৯ মার্চ পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক মো. আবুল খায়ের মাতুব্বর আলোচিত এই মামলার অভিযোগপত্র দেন।

মামলায় ২০১৫ সালের ১২ নভেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল রায় দেন। রায়ে ওই দম্পতির মেয়ে ঐশীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ ও তাঁর বন্ধু মিজানুর রহমানকে দুই বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। একই বছরের ১৯ নভেম্বর নিম্ন আদালতের রায়সহ নথিপত্র হাইকোর্টে আসে। পরে তা ডেথ রেফারেন্স হিসেবে নথিভুক্ত হয়। একই বছরের ৬ ডিসেম্বর খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করেন ঐশী।