কাগজ না থাকলে জামিন পেতাম না : সাক্বু

Looks like you've blocked notifications!
দ্বিতীয়বারের মতো কুমিল্লা সিটি মেয়রের দায়িত্ব নেন মনিরুল হক সাক্কু। ছবি : এনটিভি

কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) দায়িত্ব নিয়েছেন নবনির্বাচিত মেয়র মনিরুল হক সাক্কু। দায়িত্ব নেওয়ার পর মামলার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি বিন্দুমাত্র সংশয় করছি না। আমার কাছে কাগজপত্র না থাকলে আমি জামিন পেতাম না।’

আজ বুধবার কুমিল্লায় নগর ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব নেন মনিরুল হক সাক্কু। করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রশাসক ও  জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর আলমের কাছ থেকে দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি।

 নগর ভবন মিলনায়তনে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। পরে সেখানে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন মনিরুল হক সাক্কু।

মামলা নিয়ে কোনো সংশয় করছেন কি না জানতে চাইলে মনিরুল হক সাক্কু বলেন, ‘আমি বিন্দুমাত্র সংশয় করছি না। আমার কাছে কাগজপত্র না থাকলে আমি জামিন পেতাম না। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আইন জনগণের পক্ষে আছে।’ তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের আগে আমি সব তথ্য দিয়েছি। আমি ১২টি মামলার উল্লেখ করেছি।’

দেশের অন্য সিটি মেয়রদের ব্যাপারে মনিরুল হক বলেন, ‘সরকার তাঁদের বরখাস্ত করেছে। তাঁরা আবার বহাল হয়েছেন। সুতরাং ওই আশঙ্কা আর নেই। রাজশাহী, গাজীপুর, সিলেটে বরখাস্ত করেছে। তাঁরা তো আবার বসেছেন। আইনের মাধ্যমেই বসেছেন। আইন সবার সঙ্গে আছে। আমার সঙ্গেও আছে।’

মনিরুল হক সাক্কু বলেন, ‘প্রথম পাঁচ বছর মেয়র ছিলাম। তখন নতুন ছিলাম। এখন আমি আর কাউকে অজুহাত দেখাতে পারব না। এখন কাজ করতে হবে। হয় কাজ করতে হবে নয়তো সরে যেতে হবে। মানুষ আমাকে আর কত সময় দিবে। এখন তো আমি আর নতুন না। মানুষ আমাকে বিশ্বাস করে দায়িত্ব দিয়েছে। আমি ১০০ দিনের একটি প্রোগ্রাম দেব। আগামী ১০০ বছরের চিন্তাভাবনা করে পরিকল্পনা নেওয়া হবে।’

গত ৩০ মার্চ কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আঞ্জুম সুলতানা সীমাকে পরাজিত করে মেয়র নির্বাচিত হন বিএনপির মনিরুল হক সাক্কু। শপথ গ্রহণের আগে গত ১৮ এপ্রিল তাঁর বিরুদ্ধে থাকা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। পরে ৯ মে ওই মামলায় তিনি জামিন পান। গত ১১ মে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মনিরুল হক সাক্কুকে শপথ গ্রহন করান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।