রানা প্লাজার মালিকসহ ১২ জনের বিচার শুরু
সাভারের রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানাসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলায় অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এর মধ্য দিয়ে এ মামলার আসামিদের বিচার শুরু হলো।
আজ রোববার ঢাকা বিভাগীয় বিশেষ জজ এম আতোয়ার রহমান এই অভিযোগ গঠন করেন। বিচারক আগামী ৫ জুলাই মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেছেন।
এই মামলার অভিযোগ গঠনের আদেশের দিন ধার্য ছিল আজ। বিচারক এই মামলায় ছয়জনকে অব্যাহতি দিয়ে সোহেল রানাসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
আদালতের সরকারি কৌসুলি মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর বিষয়টি জানিয়েছেন।
মামলায় অভিযুক্ত আসামিরা হলেন রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানা, তাঁর বাবা আবদুল খালেক, সাভার পৌরসভার মেয়র মো. রেফাতউল্লাহ, সাভার পৌরসভার প্রাক্তন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার রায়, নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, প্রাক্তন সহকারী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান, প্রাক্তন উপসহকারী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান রাসেল, সাভার পৌরসভার প্রাক্তন টাউন প্ল্যানার ফারজানা ইসলাম, লাইসেন্স পরিদর্শক মো. আবুদল মোত্তালিব, পৌরসভার প্রাক্তন সচিব মর্জিনা খান, নিউওয়েব বটমস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) বজলুস সামাদ ও ইথার টেক্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. আনিসুর রহমান।
অব্যাহতি পাওয়া ছয়জন হলেন সোহেল রানার মা মর্জিনা বেগম, সাভার পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কমিশনার হাজি মোহাম্মদ আলী, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক (আর্কিটেকচার ডিসিপ্লিন) এ টি এম মাসুদ রেজা, প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসাইন, প্রাক্তন সচিব মো. আবুল বাশার ও ফ্যান্টম অ্যাপারেলস লিমিটেডের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম।
মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভার বাসস্ট্যান্ড-সংলগ্ন রানা প্লাজা ধসে পড়ে এক হাজার ১৩৫ জন নিহত এবং দেড় হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হন। নিহত শ্রমিকদের মধ্যে ২৯১ জনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। এরা সবাই ওই ভবনের পাঁচটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন।
ঘটনার পরপরই ভবন নির্মাণে দুর্নীতির অনুসন্ধানে নামে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। নকশাবহির্ভূত ভবন নির্মাণের অভিযোগে ২০১৪ সালের ১৫ জুন সাভার থানায় ১৭ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করে দুদক।
ভবনটি সোহেল রানার বাবার নামে হওয়ায় ওই সময় মূল অভিযুক্ত সোহেল রানাকে বাদ দিয়ে তাঁর বাবা-মাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়।
২০১৩ সালের ১৬ জুলাই মামলার বাদী ও তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক এস এম মফিদুল ইসলাম সোহেল রানাসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা ও দণ্ডবিধি ১০৯ ধারায় অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
পরবর্তী সময়ে ঢাকার বিভাগীয় বিশেষ জজ এম আতোয়ার রহমান গত বছরের ৬ মার্চ দুদকের দেওয়া এ অভিযোগপত্রে ত্রুটি থাকায় পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দেন। পুনঃতদন্তে এই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।