হজ কার্যক্রম না চালানোর হুমকি হাবের

Looks like you've blocked notifications!
হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) সংবাদ সম্মেলন করে। ছবি: এনটিভি

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিসের (বায়রা) মতো সরকারও হজযাত্রী পাঠানোর কার্যক্রম নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছে হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)। মোয়াল্লেম ফি-সহ ৬৮ হাজার টাকা সরকারের কোষাগারে জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা থাকলে চলতি বছর হজ কার্যক্রম চালাবে না বলে হুঁশিয়ার করে দিয়েছে সংগঠনটি। লাইসেন্স ফেরত দেওয়ার হুমকিও দিয়েছেন হাব নেতারা। 

আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান হাব নেতারা। 

এক দফা বাড়িয়ে হজযাত্রীদের নিবন্ধনের শেষ সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে ২৬ ফেব্রুয়ারি। আগে ৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নিবন্ধনের কথা বলা হয়েছিল। এ পর্যন্ত ৫৩ হাজার ডেটা-এন্ট্রি করা হলেও কোনো নিবন্ধন হয়নি। কারণ হিসেবে মোয়াল্লেম ফি ২০ হাজারের সাথে বিমান ভাড়ার অগ্রিম ৪৮ হাজার টাকা জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। 

হাব মহাসচিব শেখ আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমরা হজের টিকিটের টাকা সরকারের খাতে কী জন্য দেব? বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার জন্য, বেসরকারি হজ কার্যক্রমকে বন্ধ করার জন্য এ পাঁয়তারা চলছে।’ 

হাবের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আবদুল কবির খান জামান সাংবাদিকদের বলেন, ‘সরকার তো হাজি পায়-ই না, দেখেছেন আপনারা। সরকার বিভিন্নভাবে, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে হাজি জোগাড় করে থাকে। এক হাজার, দেড় হাজারের বেশি হাজি তারা পায় না। প্রাইভেট সেক্টরকে প্রশ্নবিদ্ধ ও বাধার সম্মুখীন করার জন্য এটা করা হচ্ছে।’ 

শতভাগ দুর্নীতিমুক্ত একটি বেসরকারি হজ ব্যবস্থাপনা চাইলে সরকারের বাধ্যবাধকতা তুলতে হবে দাবি করেন হাবের যুগ্ম সম্পাদক ফরিদ আহমেদ মজুমদার।  

সংবাদ সম্মেলনে হাব অভিযোগ করেছে, সরকারের কোষাগারে এই টাকা জমা দেওয়ার মাধ্যমে হজ কার্যক্রমকেও বায়রার জায়গায় নিয়ে যেতে চাইছে সরকার। তাদের টাকা জমা দিতে বাধ্য  করা হলে লাইসেন্স ফেরত দেবে তারা। 

হাবের সভাপতি ইব্রাহিম বাহার বলেন, ‘সরকার মোয়াল্লেম ফির সাথে টিকিটের টাকা জমা দিতে বাধ্য করলে সকল হজ এজেন্সি কার্যক্রম থেকে বিরত থাকবে এবং হজ লাইসেন্স সারেন্ডার করবে।’ 

বাংলাদেশের জন্য এক লাখ এক হাজার হজযাত্রীর লক্ষ্যমাত্রা পূরণে, নিবন্ধনের সময়সীমা বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন হাব নেতারা। 

এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে হজযাত্রীদের নিবন্ধনের সময় মোয়াল্লেম ফির সাথে বিমানের টিকিটের সমুদয় টাকা এককালীন জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতার কথা জানানো হয় ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে।