জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার আংশিক পুনর্তদন্তের শুনানি ৫ জুন
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার একাংশের পুনর্তদন্ত চেয়ে খালেদা জিয়ার করা আপিলের শুনানির জন্য ৫ জুন দিন নির্ধারণ করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।
হাইকোর্টের খারিজ আদেশ স্থগিত চেয়ে করা আবেদনের শুনানি শেষে আজ বুধবার চেম্বার বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন এ আদেশ দেন।
গত ৯ মার্চ হাইকোর্ট জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার একাংশের পুনর্তদন্ত চেয়ে করা আবেদন খারিজ করেছেন হাইকোর্ট।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন এ জে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, জাকির হোসেন ভূঁইয়া প্রমুখ।
গত ৭ মার্চ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার একাংশের পুনর্তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। নিম্ন আদালতে একই আবেদন করা হলে তা খারিজ করে দেওয়ায় হাইকোর্টে আবেদন করেন বলে জানান খালেদা জিয়ার আইনজীবী জাকির হোসেন ভূঁইয়া।
জাকির হোসেন ভূঁইয়া এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘সৌদি আরব থেকে ট্রাস্টের নামে টাকা এসেছে বলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেছেন। কিন্তু আমাদের বক্তব্য হচ্ছে সৌদি থেকে কোনো অর্থ আসেনি। অর্থ এসেছে কুয়েত থেকে, যা কুয়েতের আমির পাঠিয়েছেন। তাই আমরা মামলার এই অংশটির পুনর্তদন্ত চেয়ে নিম্ন আদালতে আবেদন করি।’ কিন্তু গত ২ ফেব্রুয়ারি সে আবেদন খারিজ করে দেন আদালত। তাই এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করেন খালেদা জিয়া।
রাজধানীর বকশীবাজারে স্থাপিত ঢাকার তিন নম্বর বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদারের আদালতে মামলাটির বিচার চলছে।
২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এতিমদের সহায়তা করার উদ্দেশে একটি বিদেশি ব্যাংক থেকে আসা দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ এনে এ মামলা দায়ের করা হয়।
এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ মোট আসামি ছয়জন। অন্য পাঁচ আসামি হলেন বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।
ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান মামলার শুরু থেকেই পলাতক।