টহলে গিয়ে নিখোঁজ বিজিবি সদস্য

Looks like you've blocked notifications!
লালমনিরহাটের পাটগ্রামের তিস্তা নদীতে নিখোঁজ বিজিবির ল্যান্স নায়েক সুমন মিয়াকে উদ্ধারে অভিযান চলছে। ছবি : এনটিভি

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলায় তিস্তা নদীতে টহলে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) এক সদস্য। 

গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে নিখোঁজ হন ওই সদস্য। 

নিখোঁজ ওই বিজিবি সদস্যের নাম সুমন মিয়া (৩০)। তাঁর বডি নম্বর ৭৬২৪১। গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জে। 

ল্যান্স নায়েক সুমন রংপুর-৬১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সদস্য। তবে তিনি লালমনিরহাট-১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের দহগ্রাম ক্যাম্পে সংযুক্ত আছেন।

লালমনিরহাট-১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম মোর্শেদ বলেন, নিখোঁজ বিজিবি সদস্যকে উদ্ধারে বিজিবি, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা প্রায় ২৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে নদীতে অভিযান চালাচ্ছেন। 
 বিজিবির এই কর্মকর্তা জানান, গতকাল দিবাগত রাতে লালমনিরহাট-১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের দহগ্রাম বিজিবি ক্যাম্পের চার সদস্যের একটি দল টহলে যায়। ওই সীমান্তের মুন্সীপাড়া এলাকার ‘আবুলের চর’-এ পৌঁছার পর তাঁদের সামনে পড়ে একটি চোরাকারবারি দল। তারা ভারত থেকে গরু নিয়ে নদীপথে দেশে ফিরছিল। এ সময় ওই টহল দলটি তাদের আটকের চেষ্টা চালায়। পরে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে টুটন নামের এক বিজিবি সদস্য নদীতে পড়ে যান। তাঁকে উদ্ধার করতে নদীতে নামেন টহল দলের সদস্য সুমন। তবে টুটন উদ্ধার হলেও নিখোঁজ হন সুমন।  

লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম মোর্শেদ বলেন, সুমন নিখোঁজের পর থেকেই  উদ্ধার অভিযান শুরু করে বিজিবি। আজ ভোরে স্পিডবোট নামিয়ে তাঁকে খোঁজাখুঁজি শুরু করা হয়। এর পাশাপাশি নদীতে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবুরি দল। অন্যদিকে বিজিবির আহ্বানে সাড়া দিয়ে বিএসএফের একটি দলও তিস্তা নদীর ভারতীয় অংশে স্পিডবোট দিয়ে সুমনকে উদ্ধারের কাজ করছে। উদ্ধার অভিযানের সর্বশেষ সংযোজন হিসেবে হেলিকপ্টার ব্যবহারের সম্ভাব্যতাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।