তথ্যের ভিত্তিতে কথাটা বলিনি : তথ্যমন্ত্রী
নির্বাচনে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অংশগ্রহণ নিয়ে নিজের বক্তব্য সম্পর্কে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, ‘আমি আমার ব্যক্তিগত অভিমত তুলে ধরেছি। কোনো তথ্যের ভিত্তিতে আমি এই কথা বলিনি। তিনি যে অপরাধ করেছেন তাতে আমি আশা করছি, আদালতে তিনি সাজাপ্রাপ্ত হবেন এবং আগামী নির্বাচনের জন্য অযোগ্য হয়ে পড়বেন।’ খালেদা জিয়া আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না—কোন তথ্যের ভিত্তিতে জাতীয় সংসদে তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেছেন, সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব বলেন।
আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় তথ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে খালেদা জিয়ার বক্তব্যের জবাব দিতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এতে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া ইফতার সামনে রেখে পুলিশকে জড়িয়ে যে মিথ্যাচার করেছেন, তাতে ফেরেশতারাও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। খালেদা জিয়া আবার চাইছেন, আগুন-যুদ্ধের মাধ্যমে অগণতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতা দখল করতে।’
সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মধ্যবর্তী নির্বাচনের ফানুস ওড়ানো হচ্ছে। আগুন-সন্ত্রাসের মাধ্যমে যে অপরাধ খালেদা জিয়া করেছেন, তা থেকে নিজে ও পুত্র তারেককে বাঁচানোর জন্য মধ্যবর্তী নির্বাচনের নামে উত্তেজনার বেলুন ওড়াচ্ছেন। মধ্যবর্তী নির্বাচনের কোনো কারণ দেখছি না।’
ইনু আরো বলেন, একাত্তরের যুদ্ধপরাধী, পঁচাত্তরের বঙ্গবন্ধুর খুনি ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় জড়িতরা কেউই রেহাই পায়নি। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে খালেদা জিয়া যে আগুন-সন্ত্রাস চালিয়েছেন, ওই অপরাধীর মতো খালেদা জিয়াও বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াবেন। আইনের আদালত ও জনতার আদালতে তাঁর বিচার হবে।
‘সারা দেশে কেন্দ্র থেকে উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত বিএনপির ৮৪ হাজার নেতাকর্মী আছে। এদের মধ্যে শুধু খালেদা জিয়া, তাঁর পুত্র তারেক ও গুটিকয়েক নেতা ছাড়া বিএনপির বাকি নেতারা কোনো অপরাধ করেননি। আগুন-সন্ত্রাসের অভিযোগে তাঁদের নামে কোনো মামলা নেই। বিএনপি নেতারা ঠিকমতো ব্যবসা-বাণিজ্য করছেন, আদালতে হাজিরা দিচ্ছেন, সুন্দর জীবনযাপন করছেন। তবে যাঁরা আগুন-সন্ত্রাস করেছেন, তাঁরা কেউ রেহাই পাবেন না,’ যোগ করেন তথ্যমন্ত্রী।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান তথ্য কর্মকর্তা তছির আহাম্মদসহ তথ্য অধিদপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
গত ২৭ জুন জাতীয় সংসদে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের জন্য বিষফোড়া। গণতন্ত্র বাঁচাতে এ ধরনের বিষফোড়া কেটে বাদ দিতে হবে। ২০১৯ সালের নির্বাচনে গণতান্ত্রিক শক্তির সঙ্গে গণতান্ত্রিক শক্তির নির্বাচন হবে। ওই নির্বাচনে গণতন্ত্রের অচল মাল সচল হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আগুন-সন্ত্রাসী খালেদা জিয়ার সেই নির্বাচনে অংশগ্রহণের কোনো সুযোগ থাকবে না।’
পরে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে এক আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, ‘খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কি না, তা নির্বাচন কমিশন দেখবে, ইনু সাহেব নয়।’