‘স্বামীকে ফিরে পেয়েছি, এতেই খুশি’
কবি ও প্রাবন্ধিক ফরহাদ মজহার নিজ জিম্মায় যাওয়ার পর তাঁর স্ত্রী ফরিদা আখতার সাংবাদিকদের বলেন, ‘স্বামীকে ফিরে পেয়েছি, এতেই খুশি।’
আজ মঙ্গলবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালত প্রাঙ্গণে ফরহাদ মজহারের স্ত্রী এ কথা বলেন। এর আগে বিকেলে ঢাকা মহানগর হাকিম আহসান হাবীব ফরহাদ মজহারকে নিজ জিম্মায় বাড়ি ফিরে যাওয়ার আদেশ দেন।
আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) নিজাম আহমেদ এনটিভি অনলাইনকে জানান, বিচারক ফরহাদ মজহারকে নিজ জিম্মায় যেতে চান কি না জিজ্ঞাসা করলে তাঁকে ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় নিজ জিম্মায় যাওয়ার আবেদন মঞ্জুর করেন। আর এর ফলে ফরহাদ মজহারের এখন নিজ জিম্মায় যাওয়ার আইনির বাধা রইল না।
এর আগে আজ মঙ্গলবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের (সিএমএম) আদালতে বেলা পৌনে ৩টায় আদাবর থানার পুলিশ ফরহাদ মজহারকে হাজির করে। পরে তিনি ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় ঢাকার মহানগর হাকিম আহসান হাবিবের আদালতে ঘটনার বিবরণ দিয়ে জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য আবেদন করেন।
এ ব্যাপারে ফরহাদ মজহারের আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, ফরহাদ মজহারকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার পর গত রাতে যশোরের নোয়াপাড়া থেকে উদ্ধার করা হয়। তাঁকে অপহরণের ঘটনায় রাজধানীর আদাবর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ফরহাদ মজহারকে আদালতে আনা হয় জবানবন্দি নেওয়ার জন্য। ওই সময় নিজ জিম্মায় যাওয়ার জন্য আবেদন করা হয়।
গত সোমবার রাতে যশোরের নোয়াপাড়া থেকে উদ্ধারের পর সকালে কবি ও প্রাবন্ধিক ফরহাদ মজহারকে রাজধানীর আদাবর থানায় নিয়ে আসা হয়।
এর আগে সোমবার বিকেলে ফরহাদ মজহারের বন্ধু গৌতম দাস সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, গতকাল সোমবার ভোর ৫টার দিকে রিং রোডের ১ নম্বর বাসার সামনে থেকে কে বা কারা ফরহাদ মজহারকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে। ‘উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া’র আধা ঘণ্টা পর ফরহাদ মজহারের মোবাইল ফোন থেকে তাঁর স্ত্রীর কাছে টেলিফোন আসে। ফোনে ফরহাদ মজহার বলেন, ‘আমাকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। ওরা আমাকে মেরে ফেলবে।’ এ কথা বলেই তিনি ফোনটি কেটে দেন। এরপর বিষয়টি আদাবর থানার পুলিশকে জানানো হয় বলে জানান গৌতম।