বগুড়ায় অপহৃত যুবক উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৯
বগুড়ায় অপহরণের শিকার এক যুবককে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাঁর নাম জাহিদুল ইসলাম (৩২)। তিনি একটি বেসরকারি সংস্থায় (এনজিও) কর্মরত।
অপহরণের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে চার নারীসহ নয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে অপহরণকারীদের গ্রেপ্তার এবং জাহিদুলকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় মুক্তিপণ হিসেবে নেওয়া অর্থের মধ্যে ৮০ হাজার টাকা উদ্ধার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন- স্বপ্না বেগম (২৮), মালা বেগম (২০), শারমীন আক্তার (৩০), রেখা বেগম (২২), সুলতান (২৬), মানিক (২৬), মনির (২৮), পিয়াস (৩০) ও আবদুল গফুর (৩০)।
আজ বুধবার দুপুরে বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি/তদন্ত) আসলাম আলী জানান, এসকে ফাউন্ডেশন নামে একটি এনজিও প্রতিষ্ঠানের সদরের ঘোড়াধাপ শাখার ম্যানেজার জাহিদুল সোমবার অফিসের কাজে সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে বের হন। নিশিন্দার এলাকায় কাজ শেষে আবার অফিসে ফিরছিলেন। পথে মাটিডালি মক্কা গ্যারেজ এলাকায় কয়েকজন যুবক তাঁকে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে মালতীনগর এলাকার স্বপ্না বেগমের বাড়িতে নিয়ে যান। পরে তাঁর পরিবারের কাছে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়।
পুলিশ জানায়, সুকৌশলে অপহরণের পর ওই ব্যক্তিকে হুমকি দেওয়া হয়। অপহণকারীদের দাবি করা টাকার মধ্যে জাহিদুলের পরিবার সোমবার রাতে বিকাশের মাধ্যমে প্রথম দফায় ২০ হাজার টাকা ও পরে আরো পাঁচ দফায় মোট এক লাখ ১৬ হাজার টাকা দেয়। ঘটনার পরের দিন মঙ্গলবার দুপুরে অপহৃত ব্যক্তির পরিবার সদর থানার পুলিশকে বিষয়টি জানায়।
এদিকে, অভিযোগ পাওয়ার পর বগুড়া সদর থানার ওসি (তদন্ত) আসলাম আলীর নেতৃত্বে পুলিশ অভিযান শুরু করে। উপশহর এলাকার একটি বিকাশ পয়েন্টের সামনে মুক্তিপণের টাকা নিতে আসা সুলতান ও মানিককে প্রথমে গ্রেপ্তার করে। পরে পুলিশ সুলতানগঞ্জ স্কুল এলাকায় অভিযান চালিয়ে আরো তিনজনকে এবং তাঁদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী মালতীনগর এলাকা থেকে অপহৃত জাহিদুলকে উদ্ধার এবং চার নারীসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ জানায়, অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে বগুড়া সদর থানায় ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আসামিদের মধ্যে দুজন পলাতক। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।