গাইবান্ধায় নদীর পানিতে ২৫ গ্রাম প্লাবিত
গাইবান্ধার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা, যমুনা, ব্রহ্মপুত্র, ঘাঘটসহ সব নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বিপৎসীমা ছাড়িয়েছে ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদীর পানি। শনিবার দুপুর পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি ১০ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ১৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান এসব তথ্য জানিয়েছেন।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পানি বৃদ্ধির কারণে গাইবান্ধার সদর উপজেলার কামারজানির হাঁসধরা, কড়াইবাড়ি, রায়দাসবাড়ি, কীর্তনের পাড়া, সৈয়দপুর ও ফুলছড়ি উপজেলার চর কালাসোনা, খলাইহারা, বালাসীঘাট, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার লালচামার, বেলকার চর ও সাঘাটা উপজেলার দিঘলকান্দিসহ অন্তত ২৫ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ঘরবাড়িতে পানি ওঠায় তারা ঘরবাড়ি ছেড়ে রাস্তা অথবা স্কুলে আশ্রয় নিয়েছে। রাস্তা বিধ্বস্ত হয়েছে বালাসীঘাট থেকে উড়িয়া সড়কটি। এলাকাবাসী চলাচলের জন্য বালাসীঘাট এলাকা সড়কে বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করছে।
এ ছাড়াপানি বৃদ্ধির কারণে সদর উপজেলা ও ফুলছড়ি উপজেলার বেশ কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পানি ঢুকে পড়েছে। ফলে বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ করা হয়। পানির প্রবল চাপে ফুলছড়ি ও সদর উপজেলার কামারজানি এলাকায় ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে।
ভাঙনের ফলে গত এক সপ্তাহে অন্তত শতাধিক বসতবাড়ি নদী গর্ভে বিলিন হয়েছে। ভাঙনের মুখে রয়েছে আরও শত শত বসতবাড়ি। এ ছাড়াপানির প্রবল চাপে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বেশ কিছু পয়েন্টেও ভাঙন দেখা দিয়েছে।
বন্যাকবলিত এলাকার বানভাসী মানুষদের ত্রাণ সহায়তাসহ তাদের খোঁজখবর নিতে উপজেলা ও জেলা প্রশাসন তদারকি করছে। এসব বানভাসী মানুষরা ত্রাণের জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছে।