ছাত্রলীগের দুই পক্ষের বিবাদের জেরে এমসি কলেজ বন্ধ ঘোষণা

Looks like you've blocked notifications!

ছাত্রলীগের দুই পক্ষের বিবাদের জের ধরে সিলেটের ঐতিহ্যবাহী এমসি কলেজে ছাত্রাবাসে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। 

বেলা ১১টার দিকে এমসি কলেজ শাখা ছাত্রলীগ অলিখিতভাবে নিয়ন্ত্রণকারী টিটু চৌধুরীর অনুসারী নেতা কর্মীরা এ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটায়। এত ছাত্রাবাসের প্রথম ব্লকের দুইটি কক্ষের দরজা-জানালা, দ্বিতীয় ব্লকের একটি দরজা ও জানালা, শ্রীকান্ত ব্লকের ছয়টি দরজা ও জানালা, পঞ্চম ব্লকের ১৪টি দরজা ও জানালা এবং চতুর্থ ব্লকের ১৬টি দরজা ও জানালা ভাংচুর করে তারা।

এ ঘটনার পরপর কলেজ কর্তৃপক্ষ কলেজ বন্ধ ঘোষণা করে এবং সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে সকল ছাত্রদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেয়।

এ বিষয়ে শাহ পরাণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আখতার হোসেন জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ছাত্রাবাস এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

খবর পেয়ে এমসি কলেজের অধ্যক্ষ নিতাই চন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গতকাল বুধবার রাত ১০টার দিকে কলেজ ছাত্রলীগের আরেকটি গ্রুপ সঞ্জয় গ্রুপের অনুসারীরা ছাত্রাবাসে অস্ত্রের মহড়া দেয়।

এর কিছুসময় টিলাগড় পয়েন্টে ছাত্রলীগের এই দুই গ্রুপের মারামারির ঘটনাও ঘটে। এতে আহত ছাত্রলীগকর্মী রাহাত ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এ ঘটনার জের ধরে আজ সকালে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ভাঙচুর চালায় টিটু চৌধুরীর অনুসারী নেতাকর্মীরা।

এমসি কলেজে ছাত্রলীগের কোনো কমিটি নেই। রঞ্জিত ও টিটু চৌধুরী নামের দুই নেতা এই কলেজ ছাত্রলীগকে নিয়ন্ত্রণ করেন। কলেজটির শিক্ষার্থীরাও দুটি ভাগে ভাগ হয়ে দুই নেতার অনুসারী হয়ে রাজনীতি করেন।