ফরহাদ মজহার নিয়ে আইজিপির বিস্তারিত বক্তব্য
‘আমরা শতভাগ স্বচ্ছতা নিয়ে কাজ করছি। তাঁকে উদ্ধারের জন্য আমরা পাগল হয়ে গেছি। এখন বিচারের ভার আপনাদের কাছে এবং জনগণের কাছে দিলাম।’
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক। কবি ও প্রাবন্ধিক ফরহাদ মজহারের প্রসঙ্গে অবহিত করার জন্য ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
‘জিনিসটা ক্লিয়ার হওয়া দরকার’
আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক বলেন, ‘ফরহাদ মজহার দেশের একজন সুপরিচিত লোক, অনেকের কাছেই তিনি বিশিষ্ট ব্যক্তি। তিনি অপহরণ হয়েছেন এটা অভিযোগ আমাদের কাছে আসে। তাঁর জন্য জিডি (সাধারণ ডায়েরি) হয়েছে, মামলা হয়েছে। কিন্তু এটাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন জন, অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তিসহ অনেকেই অনেক ধরনের কথা বলেছেন। সরকারকে জড়িয়ে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে জড়িয়ে, প্রতিবেশী দেশ এবং প্রতিবেশী দেশের গোয়েন্দা সংস্থাকে জড়িয়ে অনেক কথা বার্তা বলেছে। যেগুলো আমাদের জানা মতে কোনো ভিত্তি নেই। আমরা মনে করি দায়িত্ব জ্ঞানহীন বক্তব্য, কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য-উপাত্ত ছাড়া তাঁরা এই বক্তব্য দিয়ে জনগণের মনে বিভ্রান্ত সৃষ্টি করেছে। মানুষের মনে নানা রকম প্রশ্ন সৃষ্টি হয়েছে। আমাদেরকে অনেকেই বলেছে এই জিনিসটা ক্লিয়ার হওয়া দরকার। অনেককে প্রশ্ন করতেও দেখেছি যে সরকার, প্রশাসন, পুলিশ কেন এই জিনিসটা ক্লিয়ার করে না। তবে আমরা পুলিশ কাজ করি, বস্তুগত তথ্যের ভিত্তিতে, তদন্ত করে তদন্তের ফাইন্ডিংস না পাওয়া পর্যন্ত আমরা সুনির্দিষ্টভাবে কোনো কিছু বলে থাকি না। বলা উচিত না। এ জন্য তদন্তে আমরা সময় নিয়েছি। তদন্ত করতে গিয়ে আমরা, একটা পর্যায়ে এসেছি এখন আমরা মনে করছি এই জিনিসটা জনগণের কাছে বলা উচিত। ক্লিয়ার হওয়া উচিত, জনগণের বিভ্রান্তি, বিভিন্ন প্রশ্ন তাঁর একটা মিমাংসা হওয়া উচিত। এই জন্য আমি কিছু কথা বলতে চাই।’
‘প্রত্যেকটা জেলায় চেকপোস্ট বসিয়েছি’
গত ৩ জুলাই দিনভর পুলিশ কী করেছে তা তুলে ধরেন আইজিপি শহীদুল হক। তিনি বলেন, ‘রাত ৮টার দিকে পুলিশের কাছে ফরহাদ মজহারের স্ত্রী লোক পাঠিয়ে আদাবর থানায় অভিযোগ করেন। তিনি অভিযোগ করেন, ফরহাদ মজহার তাঁকে টেলিফোন করে জানিয়েছেন কে বা কারা তাঁকে নিয়ে যাচ্ছে। তাঁকে মেরে ফেলবে এবং তাঁরা মুক্তিপণের টাকা চায়। ৫টা ২৯ মিনিটে স্বামী ও স্ত্রী উভয়ের মধ্যে কথা হয়। কিন্তু ৫টা ২৯ মিনিটে কথা হলেও তিনি তা পুলিশকে জানান নাই। লোক পাঠাইয়া ৮টার দিকে জানাইছেন।’
আইজিপি শহীদুল হক বলেন, ‘এই সংবাদ পাওয়ার পরে, আমরা পুলিশের ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রত্যেকটি সংস্থা, গোয়েন্দা সংস্থাসহ সবাই আমরা কাজ করছি।
যতগুলি জেলায় ওনার (ফরহার মজহার) টেলিফোন নম্বরটা ওপেন ছিল, টেলিফোন নম্বর দিয়ে যে সমস্ত রাস্তায় যাওয়া যেতে পারে। আমরা যখন জানি তখন তো তিনি (ফরহাদ মজহার) আরিচা পার হয়ে গেছেন। প্রত্যেকটা জেলায় আমরা চেকপোস্ট বসিয়েছি। তথ্য ছিল একটা মাইক্রোবাসে করে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। অপহরণকারীরা কোন ভিকটিমকে মাইক্রোবাসে করেই নিয়ে যায়, সবসময় সেটাই আমরা দেখছি। বাসেও যায় না, বা অন্য জায়গায়ও যায় না। কাজেই প্রত্যেকটা জেলায় চেকপোস্ট বসে, কমন মাইক্রবাসগুলো আমরা চেক করেছি। কোনো মাইক্রোবাসে আমরা পাই নাই। পরে আমরা খবর পেলাম একটা বাসে করে আসছেন, তখন আমরা এখান থেকে অভয় নগর থানায় যোগাযোগ করি। তাঁরা গাড়িটি আইডেন্টিফাই করেছে এবং ফরহাদ মজহারকে বাস থেকে নামিয়ে নিয়েছে।’
‘উনার স্ত্রীর সঙ্গে ১০ বার কথা বলেছেন’
আইজিপি শহীদুল হক বলেন, ‘উনি (ফরহাদ মজহার) আদালতে বলছেন যে ৭টার দিকে তাঁকে ছেড়ে দিছে অপহরণকারীরা। তাহলে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত তিনি অপহরণকারীদের দখলে ছিলেন। এই সময়ের মধ্যে আমরা দেখেছি উনি (ফরহাদ মজহার) উনার স্ত্রীর সঙ্গে ১০ বার টেলিফোনে কথা বলেছেন। এই ১০ বার টেলিফোন কী কী বলছেন তাঁর কিছু কিছু বিষয় আছে আমাদের কাছে। আর একটি নম্বরে উনি (ফরহাদ মজহার) ছয়বার কথা বলেছেন এবং ওই নম্বর থেকে একটা এসএমএস এসেছে। বুঝলাম তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছে মুক্তিপণের টাকার জন্য। কিন্তু অন্য একটা ব্যক্তির সঙ্গে যখন কথা বলে, তখন পুলিশের তদন্তকারী অফিসারের স্বভাবতই মনে সন্দেহ জাগে এই ব্যক্তি হয়তো অপহরণকারীর পক্ষের কোনো লোক অথবা ব্যক্তির পক্ষের লোক। ওই ব্যক্তি স্বভাবতই ঘটনার প্রাসঙ্গিকতায় এসে পড়ে । তাই এই প্রাসঙ্গিক ব্যক্তিকে খুঁজে বের করা এটা তদন্তকারী অফিসারের দায়িত্ব ছিল।’
শহীদুল আরো বলেন, ‘আমরা তদন্ত করতে গিয়ে দেখলাম যে ওই ব্যক্তি (যার সঙ্গে ফরহাদ ছয়বার কথা বলেন) ঢাকার ভাটারার নতুন বাজার এলাকায় থাকে। তারপর দেখলাম যে, তিনি ঢাকা থেকে দূরে চলে গেছেন চটগ্রামে। সেখান থেকে তাঁকে খুঁজে তাকে বের করে এনেছি এবং সে ব্যক্তিটা একজন নারী। যেহেতু ওই নারী এই ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত হয়ে গেছে ওই নারীর স্টেটমেন্ট নেওয়া আমার আইনগত বাধ্যবাধকতা আছে। আমরা যে স্টেটমেন্ট নিয়েছি একে আরো গ্রহণযোগ্য করার জন্য আমরা তাকে আদলতে নিয়ে গেছি। আদালতে অকপটে সেই নারী সাক্ষী দিয়েছে।’
ওই নারী প্রসঙ্গে আইজিপি আরো বলেন, ‘আপনারা বাই দিস টাইম অনেক তথ্য পেয়েছেন, অনেক পত্রপত্রিকায় দেখেছেন ওই মহিলার যে বক্তব্য। ফরহাদ মজহারের যে এনজিও আছে সেখানে ২০০৭ সাল থেকে ওই মহিলা কাজ করেন আর ওই সুবাদে ফরহাদের সঙ্গে পরিচয়। একপর্যায়ে বর্তমান স্ত্রী মনে হয় একটু ঝামেলা হইছে তাকে বাদ দিয়ে দিছে। কিন্তু তাঁর সাথে সম্পর্কটা সে বহাল রাখছে। এবং তাঁর (ওই মহিলার) সেই স্টেটমেন্ট অনুযায়ী এই সম্পর্কের কারণে তাঁর একটি সমস্যা সৃষ্টি হইছে। ওই সমস্যা থেকে সমাধানের জন্য সে ডাক্তার এর কাছে গেছে এবং সে ডাক্তার তাকে ট্রিটমেন্ট করছে। এখন গত জুন থেকে আবার তাঁর একই ধরনের সমস্যা সে উপলব্ধি করতে পারতাছে। এই কারণে ফরহাদ মজহারের সাথে আবার সে আগের যে দুই তারিখে দীর্ঘক্ষণ কথা বলছে, তখন উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা ছিল কী করা যায়, এখন কি হবে টাকা লাগবে পয়সা লাগবে। এ কথা শুনে ফরহাদ মজহার নিজেও উদ্বিগ্ন হয়ে গেছেন, কী করা যায় ?’
‘উনি নিজে হানিফ পরিবহনের টিকেট কিনেছেন’
শহীদুল হক বলেন, ‘এ কারণে আমাদের ধারণা এই মেয়েটা তাকে (ফরহাদ) জিজ্ঞাসা করছে যে আমি শুনলাম জানলাম আপনি নাকি অপহরণ হইছেন? উনি(ফরহাদ মজহার) বলছেন না না আমি ভালো আছি। আমার কোনো সমস্যা নাই এবং এই অপহরণের সময় তিনি মেয়েটাকে খুলনা থেকে ৩টা ৪০ মিনিটে ১৫ হাজার টাকা পাঠিয়েছেন। (সংবাদ সম্মেলনে এ সময় পাশ থেকে অন্য এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, তা ঘটে সন্ধ্যার পর।) ডাচবাংলা ব্যাংকের যে মোবাইল ব্যাংকিং তাঁর মাধ্যমে পাঠিয়েছেন। এই গুলি সব রেকর্ড আমাদের কাছে আছে। কাজেই এই সমস্ত কারণ দেখিয়ে এবং উনি (ফরহাদ মজহার) বলছেন অপহরণকারী তাকে ছেড়ে দিয়েছে সন্ধ্যা ৭ টার দিকে এবং একটি টিকিট ধরিয়ে দিছে হাতে।’
আইজিপি বলেন, ‘কিন্তু আমরা প্রমাণ পেয়েছি উনি (ফরহাদ মজহার) নিজে হানিফ পরিবহন কাউন্টারে গিয়ে নিজে টিকিট ক্রয় করছেন এবং উনি নিজেকে নাম দিছেন মি. গফুর আর ফোন নম্বর নিজেরটাই দিয়েছেন। উনি (ফরহাদ মজহার) যে হানিফ কাউন্টারে ছিলেন সে সিসিটিভি ফুটেজও আমাদের কাছে আছে। উনি (ফরহাদ মজহার) খুলনাতে ৪টা ২১ থেকে ৬টা ২৮ মিনিট পর্যন্ত প্রায় পৌনে তিন ঘণ্টা উনি (ফরহাদ মজহার) নিউমার্কেট এলাকায় ছিলেন। নিউমার্কেট গেট দিয়ে যখন ঢুকেন সিসিটিভিতে উনি ঢুকতেছে, নিউমার্কেটে উনি ঘুরতেছেন সেটা দেখা গেছে। আবার যখন বের হচ্ছেন তখন দেখা গেছে। আমাদের কাছে সিসিটিভি ফুটেজ আছে আমরা আপনাদের দেখাব বিশ্বাস অর্জন করার জন্য।’
আইজিপি আরো বলেন, ‘তদন্ত করতে গিয়ে আমরা ফরহাদ মজহারের কথার সাথে গরমিল পাই, ওনার স্ত্রীকে বারবার বলেছেন যে ওরা টাকা দিলে ছেড়ে দিবে, টাকা সংগ্রহ কর । উনি একবার টেলিফোন বলছেন যে টাকাটা আছে তোমার কাছে রেখে দেও, যদি ওরা জিজ্ঞাসা করে বলবে যে ডেলিভারি হয়ে গেছে।
শেষের দিকে উনি উনার স্ত্রীর সাথে বলেছেন, যে এগুলি তো সব ভাইরাল হয়ে গেছে, ফেসবুকসহ সবখানে ছড়াইয়া পরছে। এগুলি বন্ধ কর, বন্ধ কর ওরা আমাকে ছেড়ে দিবে ওরা আমাকে এখুনি ছেড়ে দিবে। আইজিপি বলেন, ‘এই সব কথোপকথন আমাদের কাছে আছে।’
আইজিপি আরো বলেন, ‘ঘটনার পূর্বে তাঁর আচরণ ওই মহিলার সাথে তাঁর কথা; বলে যে একটা উদ্বেগ উৎকণ্ঠা কাজ করছে। এই মহিলাকে কীভাবে বাঁচাতে হবে, কী পরিমাণ টাকা পয়সা লাগবে, এইটা কাজ করে।
আইজিপি বলেন, আমরা শত ভাগ স্বচ্ছতা নিয়ে কাজ করছি। তাকে উদ্ধারের জন্য আমরা পাগল হয়ে গেছি। এখন বিচারের ভার আপনাদের কাছে এবং জনগণের কাছে দিলাম।’
‘আমরা খতিয়ে দেখব’
ফরহাদ মজহার যদি মিথ্যাচার করেন তাহলে কী হবে এমন প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, ‘এইটা আমরা খতিয়ে দেখছি। উনি যদি বিভ্রান্ত হয়ে, উৎকণ্ঠিত হয়ে যদি..।
বুদ্ধিজীবী তো অনেক সময় বুদ্ধি আবার এলমেলো হয়ে যায়। যদি এ রকম ঘটে থাকে তাহলে তাঁর প্রতি মানবিক দৃষ্টি ভঙ্গি থাকতে পারে। আর যদি উনি চ্যালেঞ্জ করেন? এমন প্রশ্নে আইজিপি বলেন, ‘তাহলে আমরা খতিয়ে দেখব, যে তাঁর বিরুদ্ধে আইনের কোনো কার্যক্রম শুরু করা যায় কি না। সুযোগ থাকে আমরা করব।
ব্যাগ নিয়ে বের হওয়া প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, ‘ব্যাগ উনার কাছে ছিল, উনি ১৬৪ ধারায় আদালতেই বলেছে,। উনি সাদা কাপড় পরছে মাথায় একটা সাদা কাপড় দিছে এবং ব্যাগটাও সাদা রঙের। এখন সিসিটিভি যেটা ওনার বাসায় রয়েছে ওটা স্পষ্ট না এবং উনি হয়তো তাঁর স্ত্রীকে কেমোফ্ল্যাজ করার জন্য তাঁর ব্যাগটি পাঞ্জাবির নিচেও নিয়ে থাকতে পারত। যেভাবেই নিছে। এটা ক্লিয়ার উনি নিজেই স্বীকার করছে তার কাছে ব্যাগ ছিল। ব্যাগে টাকা ছিল, তার পাঞ্জাবি ছিল কালো সাদা উনি তো বলেন নাই। মোবাইলের চার্জার ছিল। এটা তো উনি নিজেই স্বীকার করেছে এটা আর বিতর্কের কোনো সুযোগ নাই।’
‘আইনজীবীরা মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন’
ফরহাদ মজহারকে জিজ্ঞাসাবাদ প্রসঙ্গে আইজিপি শহীদুল হক বলেন, ‘ফরহাদ মজহার যেহেতু মামলার ভিকটিম এবং মামলার বাদী হলেন তাঁর স্ত্রী। কাজেই এইটা আমাদের নিয়ম। ভিকটিমের বক্তব্য নিতে হয়। ভিকটিমের বক্তব্য আদালতে দিয়েছেন।
আইজিপি বলেন, ‘আমাদের একটা দায়িত্ব ছিল ভিকটিমের বক্তব্য নেওয়ার। কিন্তু আমরা দেখেছি অনেক গুণীজন, আইনজীবী তাঁরা প্রশ্ন তুলছেন যে ফরহার মজহারকে আইনজীবীদের সাথে পরামর্শ করার সুযোগ না দিয়েই, আমরা তাকে আদালতে নিয়ে গেছি। আমি সেই আইনজীবীদের সাথে দ্বিমত পোষণ করে বলতে চাই ফরহাদ মজহার তো মামলার আসামি না। তিনি মামলার ভিকটিম। তাঁর পক্ষে রাষ্ট্র আছে, পুলিশ আছে। রাষ্ট্র যার পক্ষে থাকে অন্য কোনো উকিল দেওয়ার বিধান নাই। অন্য কোনো উকিল যদি বাদী পক্ষে আসে, তবে আদলতে পারমিশন (অনুমতি) নিতে হয়। আইনজীবী সাহেবরা এই যে বক্তব্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন, এটা আমি মনে করি দুঃখজনক বিষয়। আমি এ সমস্ত বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে সবিনয়ে বলব, যে আপনারা দায়িত্ব নিয়ে কথা বলবেন। আইনের ভিত্তিতে বলবেন।’