পিরোজপুরে ফিরোজ হত্যায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড, সাতজনের যাবজ্জীবন
পিরোজপুর সদর উপজেলার কালিকাঠী গ্রামের যুবক ফিরোজ মাঝি (২২) হত্যার আলোচিত মামলায় তিনজনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ ও সাতজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ সোমবার দুপুরে পিরোজপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এস এম জিল্লুর রহমান এসব দণ্ডাদেশ দেন।
মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন সাহিনুর রহমান শানু মোল্লা, রেজাউল খাঁ ও মিজান বেপারী। তাঁদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
যাবজ্জীবন পাওয়া আসামিরা হলেন রেক্সোনা বেগম, নিজাম আকন, সুমন শেখ, ওমর ফারুক মিঠু, মামুন মাতুব্বর, লিমন তালুকদার ও মো. রাসেল। তাঁদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
আসামিদের সবার বাড়ি পিরোজপুর সদরের কালিকাঠী এলাকায়।
মামলায় বাদীপক্ষের আইনজীবী খান মো. আলাউদ্দিন জানান, ২০১২ সালের জানুয়ারিতে সদর উপজেলার ধুপপাশা এলাকায় ফিরোজ মাঝির বোন রিমু আক্তারের বিয়ে হয়। এর কয়েক দিন পর রিমিকে তাঁর স্বামীর কাছ থেকে ফিরিয়ে নিয়ে রেজাউল নামের এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে দিতে ফিরোজ ও তাঁর মা নাসিমা বেগমকে চাপ দেয় আসামিরা। কিন্তু নাসিমা বেগম ও ফিরোজ বিষয়টি না মেনে নিলে তাঁদের সঙ্গে আসামিদের বিরোধের সৃষ্টি হয়।
এর পর ২০১২ সালের ৪ এপ্রিল শিকদার মল্লিক এলাকায় একটি ওয়াজ মাহফিল থেকে গভীর রাতে বাড়ি ফিরছিলেন ফিরোজ মাঝি। পথে আসামিরা তাঁকে কুপিয়ে হত্যা করে।
এ ঘটনায় ২০১২ সালের ৫ এপ্রিল ফিরোজ মাঝির মা নাসিমা বেগম বাদী হয়ে ১০ জনকে আসামি করে পিরোজপুর সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে ২০১২ সালের ১৪ জুলাই পিরোজপুর সদর থানায় উপপরিদর্শক (এসআই) বাদল কৃষ্ণ দাস এ মামলার ১০ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
পিপি আরো জানান, এ মামলায় বাদী, তদন্তকারী কর্মকর্তা, চিকিৎসকসহ ১৩ জন সাক্ষ্য দেন।
রায় ঘোষণার সময় আদালতে আসামিদের মধ্যে আটজন উপস্থিত ছিলেন। মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত শানু মোল্লা ও রেজাউল খাঁ পলাতক।