আমজাদ খানের স্মৃতির প্রতি মোসাদ্দেক আলীর শ্রদ্ধা

Looks like you've blocked notifications!
রাজধানীর প্রগতি সরণির প্রাণ-আরএফএল সেন্টারে আজ মঙ্গলবার গ্রুপটির প্রতিষ্ঠাতা আমজাদ খান চৌধুরীর জন্য রাখা শোকবইয়ে সই করছেন এনটিভির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলহাজ্ব মোহাম্মদ মোসাদ্দেক আলী। ছবি : সাইফুল সুমন

প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল আমজাদ খান চৌধুরীর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন এনটিভির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলহাজ্ব মোহাম্মদ মোসাদ্দেক আলী। আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর মধ্য বাড্ডার প্রগতি সরণিতে প্রাণ-আরএফএল সেন্টারে আমজাদ খান চৌধুরীর জন্য রাখা শোকবইয়ে সই করেন তিনি।

এর পর প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও আমজাদ খান চৌধুরীর ছেলে আহসান খান চৌধুরীর সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে দেখা করেন মোসাদ্দেক আলী। এ সময় মোসাদ্দেক আলী বলেন, আমজাদ খান চৌধুরীর মৃত্যুতে দেশ এমন একজনকে হারাল, যিনি তাঁর ব্যবসার মাধ্যমে বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের নামকে শক্তভাবে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তাঁর ব্যবসায়িক দূরদর্শিতার কারণে আজ প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিভিন্ন দেশে সুনামের সঙ্গে ব্যবসা করছে।

এ সময় আমজাদ খান চৌধুরীর পরিবারের সদস্যদের খোঁজখবর নেন আলহাজ্ব মোসাদ্দেক আলী। আহসান খান চৌধুরী ও মোসাদ্দেক আলী দুজনেই আমজাদ খান চৌধুরীর সঙ্গে কাটানো বিভিন্ন সময়ের স্মৃতিচারণ করেন।

ভবিষ্যতে বাবার স্বপ্ন পূরণে কাজ করবেন বলে এনটিভির চেয়ারম্যানকে জানান আহসান খান। স্বপ্ন পূরণের এই কাজে প্রয়োজনে যেকোনো সহযোগিতা করবেন বলে আশ্বাস দেন আলহাজ্ব মোসাদ্দেক আলী।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এনটিভির হেড অব সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং রঞ্জন কুমার দত্ত, ম্যানেজার অসীম দাস ও প্রাণের-আরএফএলের হেড অব মিডিয়া সুজন মাহমুদ।

গত ৮ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলিনার ডিউক মেডিকেল হাসপাতালে ৭৬ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন আমজাদ খান চৌধুরী। দীর্ঘদিন তিনি ডায়াবেটিস ও হৃদরোগে ভুগছিলেন। অসুস্থতার জন্য এক মাস ধরে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। 


আমজাদ খান চৌধুরী স্ত্রী, দুই ছেলে, দুই মেয়ে, নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

১৯৩৯ সালের ১০ নভেম্বর নাটোরে জন্মগ্রহণ করেন আমজাদ খান চৌধুরী। ঢাকার নবকুমার ইনস্টিটিউটে শিক্ষাজীবন শুরু করেন তিনি। ১৯৫৬ সালে তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। তিনি অস্ট্রেলিয়ান স্টাফ কলেজে পড়াশোনা করেন। কর্মজীবনে সেনাবাহিনীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮১ সালে মেজর জেনারেল হিসেবে সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেন।

আমজাদ খান চৌধুরী মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই), ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের সভাপতি, পরিচালকসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। আবাসন খাতের ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব), সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষাকেন্দ্র আন্ডারপ্রিভিলেজড চিলড্রেন্স এডুকেশন প্রোগ্রামের (ইউসেপ) প্রতিষ্ঠাতা তিনি।