শিমুলিয়া ঘাটে ঘরমুখো মানুষের ঢল
ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই দক্ষিণবঙ্গের প্রবেশদ্বার মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া ঘাটে ঘরমুখো মানুষের ঢল নেমেছে। ১৯টি ফেরি দিয়ে পারাপার হচ্ছে যাত্রীবাহী বাস, প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাস। ফেরিঘাট এলাকায় পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে মাদারীপুরের কাওরাকান্দিগামী পাঁচ শতাধিক গাড়ি।
আজ বুধবার বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দীর্ঘায়িত হচ্ছে গাড়ির সারি। তাই পারাপারে সময়ও লাগছে অনেক। এ ছাড়া লঞ্চগুলোতে উপচে পড়া ভিড়। ঘাট থেকে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে বেশ কয়েকটি লঞ্চ ছেড়ে যেতে দেখা গেছে।
কম সময়ে দেশের ২১ জেলায় যাওয়ার জন্য শিমুলিয়া-কাওরাকান্দি ফেরিঘাট ব্যবহার করা হয়। তাই ঈদের সময় এই ঘাটে ঘরমুখো মানুষের ঢল নামে।
বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক মো. জসিম জানান, ‘১৯টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করছি। যাত্রীবাহী বাস ও গাড়িকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।’
এদিকে ঢাকা থেকে আসা কাওরাকান্দিগামী যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গ্রেট বিক্রমপুর পরিবহনের যাত্রীরা অভিযোগ করেন, শিমুলিয়া বাসস্ট্যান্ড থেকে ঢাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত ২০ টাকা ভাড়া নেওয়া হচ্ছে।
জেলা পুলিশ সুপার বিপ্লব বিজয় তালুকদার জানান, ঈদে ঘরমুখী যাত্রীদের নির্বিঘ্ন যাতায়াতের ব্যবস্থা করতে পাঁচ শতাধিক পুলিশ সদস্য নিয়ে দল গঠন করা হয়েছে। কুচিয়ামারা থেকে ফেরিঘাট এলাকা পর্যন্ত নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ঘাট এলাকা সিসি টিভির আওতায় থাকবে। কোনো রকম অনিয়ম বা হয়রানির ঘট্না ঘটলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।