গাইবান্ধার ২ উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি
গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, ঘাঘট ও তিস্তার পানি কিছুটা কমলেও করতোয়া নদীর পানি বেড়ে জেলার পলাশবাড়ী ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। কাটাখালি পয়েন্টে করতোয়ার পানি বিপৎসীমার ৬৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে, আজ শুক্রবার সকালে গোবিন্দগঞ্জের ফুলবাড়ী ইউনিয়নের হাওয়াখানা ও মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের চরবালুয়ায় করতোয়া বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের প্রায় ১০০ মিটার ভেঙে বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
বন্যায় এ পর্যন্ত সাদুল্যাপুর, সুন্দরগঞ্জ ও পলাশবাড়ীতে দুই শিশুসহ তিনজন পানিতে ডুবে মারা গেছেন। গোবিন্দগঞ্জ-দিনাজপুর আঞ্চলিক মহাসড়ক ডুবে যাওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। এ ছাড়া মহিমাগঞ্জ চরবালুয়ায় বাঁধে ভাঙন শুরু হওয়ায় আতঙ্কে রয়েছেন ওই এলাকার মানুষ। রঘুনাথপুরে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ধস শুরু হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান জানিয়েছেন, সেনাবাহিনী ও পাউবো যৌথভাবে রাতভর চেষ্টা চালিয়ে কোনোমতে ভাঙন ঠেকিয়ে রেখেছে।
বন্যা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে জানা যায়, বন্যায় জেলার সাত উপজেলার প্রায় ৬০ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় তিন লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। স্থগিত করা হয়েছে জেলার ২৫৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা।
এদিকে, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণ করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা প্রশাসক গৌতম চন্দ্র পাল বলেছেন, জেলা প্রশাসনের কাছে পর্যাপ্ত ত্রাণ রয়েছে। পর্যায়ক্রমে সবার কাছে ত্রাণ পৌঁছানো হবে।