শিশু রাজন হত্যা

আলী, মুহিত ও ইসমাইল ৭ দিনের হেফাজতে

Looks like you've blocked notifications!

সিলেটে শিশু শেখ সামিউল আলম রাজন হত্যা মামলার আসামি আলী হায়দারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতদিনের পুলিশি হেফাজত (রিমান্ড) মঞ্জুর করেছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁর ভাই আসামি মুহিত আলম ও আত্মীয় ইসমাইল হোসেন আবলুসেরও দ্বিতীয় দফায় সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে। 

আজ শুক্রবার বিকেলে সিলেট মহানগর হাকিম তৃতীয় আদালতের বিচারক আনোয়ারুল হক তিন আসামির রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) অতিরিক্ত উপকমিশনার রহমত উল্লাহ জানান, এর আগে বৃহস্পতিবার পাঁচদিন করে রিমান্ড শেষ হয় মুহিত ও ইসমাইলের। আজ বিকেলে আবার তাঁদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। আদালত তাঁদের প্রত্যকের সাতদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে আজ সকালে আসামি আলী হায়দারকে পুলিশের হাতে তুলে দেয় সদর উপজেলার শেখপাড়া গ্রামের লোকজন। 

গত ৮ জুলাই সিলেট শহরতলির কুমারগাঁও বাসস্ট্যান্ডে প্রকাশ্যে শিশু রাজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ সময় নির্যাতনের ভিডিওচিত্রও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছেড়ে দেওয়া হয়। লাশ গুম করার সময় স্থানীয় লোকজন হাতেনাতে আটক করেন সিলেট সদর উপজেলার শেখপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মুহিত আলমকে। পরে মুহিতকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। এ ঘটনায় মুহিত, তাঁর ভাই কামরুল ইসলাম, আলী হায়দার ও স্থানীয় চৌকিদার ময়না মিয়া লালকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন রাজনের বাবা।

গত সোমবার পুলিশ মুহিতের স্ত্রী লিপি বেগম ও আত্মীয় ইসমাইল হোসেন আবলুসকে পৃথক স্থান থেকে আটক করে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় পরে লিপিকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। তিন নম্বর আসামি কামরুল সৌদি আরবে পালিয়ে গেলে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সহযোগিতায় তাঁকে আটক করা হয়। পরে তাঁকে সেখানকার পুলিশে সোপর্দ করা হয়। এ ছাড়া রাজন হত্যাকাণ্ডে উৎসাহ দেওয়ার অভিযোগে দুই প্রত্যক্ষদর্শী আজমত উল্লাহ ও ফিরোজ আলীকে গত মঙ্গলবার হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ওই দিন রাত ১০টার দিকে সিলেট শহরতলির টুকেরবাজার এলাকা থেকে মামলার এজাহারভুক্ত আসামি স্থানীয় চৌকিদার ময়না মিয়া লালকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন বুধবার দুপুরে শহরতলির শেখপাড়া থেকে এলাকাবাসী ও পরিবারের সদস্যদের সহযোগিতায় আরেক আসামি দুলালকে গ্রেপ্তার করা হয়। মামলার শুরুতে দুলালের নাম এজাহারে না থাকলেও রাজনকে পিটিয়ে হত্যার ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্ত করে এজাহারে নাম অন্তর্ভুক্ত করে পুলিশ। রাজনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা মুঠোফোনে ভিডিও ধারণকারী নূর আহমেদকে বুধবার সন্ধ্যায় শহরতলির জাঙ্গাইল গ্রামের স্বজনরা পুলিশের হাতে তুলে দেয়।