রানা প্লাজার মালিক জেল খাটবেন আর ১১ মাস!
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় রাজধানীর উপকণ্ঠ সাভার উপজেলায় ধসে পড়া ভবন রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানাকে তিন বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। তবে তিনি এ মামলায় ২০১৫ সালের ২০ মে থেকে কারাগারে আটক থাকায় আর এক বছর জেল খাটবেন।
আজ মঙ্গলবার ঢাকার ৬ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েস এই দণ্ডাদেশ দেন।
রানার আইনজীবী ফারুক আহমেদ এনটিভি অনলাইনকে এ বিষয়ে জানান।
ফারুক আহমেদ জানান, রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় দায়ের করা মামলার মধ্যে রানার বিরুদ্ধে এ রায় প্রথম। তিনি আরো জানান, দুদকের মামলায় রানাকে তিন বছরের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। কিন্তু জরিমানার টাকা অনাদায়ে আরো তিন মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত।
ফারুক আহমেদ আরো বলেন, এ রায়ে আসামিপক্ষ অসন্তুষ্ট। তাই তাঁরা রানার পক্ষে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলেও জানান।
গত ২২ আগস্ট মামলার যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে ঢাকার ৬ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েস এই দিন ধার্য করেন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২২ মে সোহেল রানা, তাঁর স্ত্রী এবং তাঁর ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের নিজ নামে-বেনামে অর্জিত সব স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদসহ দায়দেনার যাবতীয় হিসাব বিবরণী দাখিল করতে নোটিশ জারি করে দুদক। ওই সময় রানা গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে থাকায় তাঁর নামে নোটিশ জারি হয়নি। পরে ২০১৫ সালের ১ এপ্রিল কাশিমপুর কারাগারে নোটিশ জারি করে দুদক।
পরে ২০১৩ সালের ২ এপ্রিল জেল সুপার নোটিশটি সোহেল রানার কাছে পৌঁছায়। কিন্তু পরবর্তী সময়ে সম্পদ বিবরণীর ফরম পূরণ না করায় ২০১৫ সালের ২০ মে দুদকের উপপরিচালক মাহবুবুল আলম রমনা থানায় রানার বিরুদ্ধে মামলা করেন।