ছিটমহলের জনগণনা : ১০২৭ জন ভারতে যেতে চান

Looks like you've blocked notifications!
ফাইল ছবি

প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশের ভেতরে থাকা ভারতের ১১১টি ছিটমহল থেকে এক হাজার ২৭ জন বাসিন্দা ভারতের অধিবাসী হতে চান। অন্যদিকে ভারতের ভেতরে থাকা বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহলের কোনো বাসিন্দাই ঠিকানা পরিবর্তনের আবেদন করেননি। তাঁরা ভারতের নাগরিকত্ব চান। এসব ছিটমহল আগামী ৩১ জুলাই মধ্য রাত থেকে মূল ভূখণ্ডে আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্ত হবে।

বাংলাদেশ-ভারত ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটি বাংলাদেশ ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা এ তথ্য দিয়েছেন। 

বাংলাদেশের ১১১টি ছিটমহলের জনগণনার প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে আগামী কাল মঙ্গলবার। বাংলাদেশের ১১১টি ছিটমহলের প্রতিবেদন রংপুর বিভাগীয় কমিশনারের কাছে জমা দেওয়া হবে। সেখানে একটি বিশেষ সফটওয়্যারের মাধ্যমে জনগণনার চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। 

বাংলাদেশ ও ভারতের অভ্যন্তরে থাকা ১৬২ ছিটমহলের যৌথ জনগণনা ১৬ জুলাই সম্পন্ন হয়েছে।

আজ সোমবার বিকেলে ভারতের চ্যাংরাবান্দায় দুই দেশের যৌথ জরিপ দল বৈঠক করে ছিটমহলের জনগণনার প্রতিবেদন প্রস্তুত করে। প্রতিবেদন তৈরির পর সোমবার রাতেই সংশ্লিষ্ট জেলার প্রশাসনিক কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করার কথা আছে। 

যৌথ সমীক্ষার ১১তম দিনে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে থাকা ভারতীয় ১১১টি ছিটমহলের প্রায় এক হাজার ৩০০ জন বাসিন্দা ঠিকানা পরিবর্তনের আবেদন করেন। জনগণনার শেষ দিনে এসে প্রায় ৩০০ ব্যক্তি তাঁদের মত পরিবর্তনের আবেদন করেন।

বাংলাদেশ-ভারত ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটি বাংলাদেশ ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা জানান, প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এসব ছিটমহল থেকে এক হাজার ২৭ জন বাসিন্দা মূল ভূখণ্ড ভারতে যেতে ইচ্ছে পোষণ করেছেন। অন্যদিকে ভারতের অভ্যন্তরে বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহলের কোনো বাসিন্দাই ঠিকানা পরিবর্তনের আবেদন করেননি। এসব ছিটমহল আগামী ৩১ জুলাই মধ্য রাত থেকে মূল ভূখণ্ডে আনুষ্ঠানিকভাবে বিনিময় সম্পন্ন হবে।

১৯৭৪ সালের চুক্তি অনুযায়ী এ সমীক্ষা কাজের মধ্যে নির্ধারণ হবে কে, কোন দেশের নাগরিক হতে চান। নাগরিকত্ব পরিবর্তনে মতামত দেওয়া মানুষগুলো আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত নাগরিকত্ব পরিবর্তনের সুযোগ পাবেন। হালনাগাদ কার্যক্রমে ২০১১ সালের পর ছিটমহলে জন্ম নেওয়া শিশু ও বৈবাহিক সূত্রে ছিটমহলের বাসিন্দাদের এই সমীক্ষায়  অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বাংলাদেশ ও ভারতের অভ্যন্তরে ১৬২টি ছিটমহলে ৭৫টি দল দুই দেশের যৌথ সমীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে ভারতের অভ্যন্তরে ২৫টি ও বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ৫০টি দল দায়িত্ব পালন করে। প্রতি দলে একজন বাংলাদেশি ও একজন ভারতীয় অন্তর্ভুক্ত ছিল।