যুবলীগের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ মমিনের মৃত্যু

Looks like you've blocked notifications!

মাগুরায় যুবলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ মমিন ভূইয়া (৪৮) মারা গেছেন। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত সোয়া ১টার দিকে মাগুরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান মুন্সি জানান, গত ২৩ জুলাই, বৃহস্পতিবার বিকেলে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শহরের দোয়ারপাড়ের যুবলীগ নেতা কামরুল ভূইয়া এবং আজিবর ও আলী গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই সংঘর্ষে কামরুল ভূইয়ার চাচা মমিন ভূইয়া গুলিবিদ্ধ হন।  হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল রাতে মারা যান তিনি।

ওসি বলেন, ‘ময়নাতদন্তের পর গুলির বিষয়টি পরিষ্কার হবে। এ বিষয়ে এখনো লিখিত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। কিন্তু দোষীদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে।’

মাগুরা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মোক্তাদির রহমান আরো জানান, গতকাল মমিন ভূইয়ার অস্ত্রোপচার করা হয়। কিন্তু তাঁর ক্ষত বেশি থাকায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

এদিকে এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ অন্তঃসত্ত্বা নাজমা খাতুনের অবস্থার উন্নতি হলেও নবজাতকের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন মোক্তাদির রহমান।

এ বিষয়ে গুলিবিদ্ধ নাজমা খাতুন বলেন, ‘আলী আর আজিবর দৌড়োতি দৌড়োতি আসছিল, আসলি আমার চাচাশ্বশুর মমিনরে গুলি করল,আমি ঠেহাতি আসলি আজিবর আমার পেটে গুলি করল। আমার পেটে সাত মাসের বাচ্চা ছিল। আমার গায়ও লেগেছে- আমার বাচ্চারও লেগেছে,এর সুবিচার চাই।’

এদিকে মমিন ভূইয়ার খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মাগুরার দোয়ারপাড় এলাকায় সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে মানববন্ধন ও মিছিল  করেছে কয়েকশ মানুষ। অবিলম্বে দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সড়কে অবস্থান নেয় তারা। পরে ওসি আসাদুজ্জামান মুন্সি ঘটনাস্থলে গিয়ে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দোষীদের গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিলে তারা আবরোধ তুলে নেয়।

জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল আওয়াল মোল্লা জানান,দোয়ারপাড়ের কামরুল ভূইয়া, আজিবর ও আলী যুবলীগের কোনো পর্যায়ের কমিটির সদস্য নন। তবে তাঁরা কর্মী। কামরুল ভূইয়া সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।