হঠাৎ শেরপুরের ৩০ গ্রাম প্লাবিত
পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলা সদরসহ তিনটি ইউনিয়নের অন্তত ৩০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
আজ শনিবার ভোরে ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে রামেরকুড়া এলাকায় মহারশি নদীর বাঁধ ভেঙে গ্রামগুলো প্লাবিত হয়।
ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারহানা করিম বলেন, ‘পাহাড়ি ঢলে বাঁধ ভেঙে ঝিনাইগাতী সদর ইউনিয়ন, ধানশাইল ও মালিঝিকান্দা এ তিনটি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। আমি পরিস্থিতি পরিদর্শনে বেড়িয়েছি। এখনো পুরোটা বিশদভাবে বলা সম্ভব হচ্ছে না।’
এদিকে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সকালের দিকে হঠাৎ করে উপজেলা শহরে পানি ঢুকতে শুরু করে। বিশেষ করে ঝিনাইগাতী উপজেলার কর্মকর্তার কার্যালয়সহ পুরো বাজার এলাকা হাঁটু পানির নিচে তলিয়ে যায়।
স্থানীয়রা আরো জানান, পাহাড়ি ঢলের পানিতে মৎস্যচাষিদের বেশি ক্ষতি হয়েছে। বিভিন্ন পুকুরের মাছ আকস্মিক এই ঢলে ভেসে গেছে।
বেশি ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামগুলোর মধ্যে রয়েছে রামেরকুড়া, দিঘীরপাড়, দিঘীরপাড় চতল, বনগাঁও, মাটিয়াপাড়া, কালীনগর, সারিকালীনগর, দড়িকালীনগর, সুরিহারা, দাড়িয়াপাড়, পাগলারমুখ, হাতিবান্ধা, স্লুইসগেট ও বনগাঁও চতল।
দুপুরের পর ঝিনাইগাতী উপজেলা সদর ও অপেক্ষাকৃত উঁচু এলাকাগুলো থেকে ঢলের পানি নামতে শুরু করলেও এখনো বেশির ভাগ স্থান রয়েছে পানির নিচে। ঢলের আকস্মিকতা এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেননি স্থানীয়রা।