রাজশাহীতে বিএমডিএর প্রধান কার্যালয় ঘেরাও

Looks like you've blocked notifications!
পদোন্নতিসহ নানা দাবিতে আজ সোমবার দুপুরে রাজশাহীতে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) প্রধান কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ করে কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ। ছবি : এনটিভি

কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আর্থিক সুযোগ-সুবিধা নিয়ে ব্যাপক অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। পদোন্নতিসহ নানা দাবিতে আজ সোমবার দুপুরে বিএমডিএর প্রধান কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছে কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ।
  
ঘেরাও কর্মসূচি পালনকালে সমাবেশে বক্তারা বলেন, ১৯৮৫ সাল থেকে চালু থাকা সিলেকশন গ্রেড, টাইমস্কেল, সিনিয়র স্কেল, পদোন্নতি ও গৃহনির্মাণ ঋণ ২০১২ সালে বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফলে ২০০৩ সাল থেকে পরে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এসব সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এতে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। এ ছাড়া দীর্ঘদিন থেকে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করেও পদোন্নতি না পাওয়ায় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সংক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। হারিয়ে ফেলেছেন কাজের আগ্রহও। তাই এসব দাবি আদায়ের জন্য তারা বিএমডিএর প্রধান কার্যালয় ঘেরাও করেছেন। 

আন্দোলন কমিটির আহ্বায়ক শামসুল হুদার সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোজাফফর হোসেন, কর্মচারী ইউনিয়নের সদস্য সচিব আতাহার আলী প্রমুখ। সমাবেশ শেষে কর্তৃপক্ষকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। 

এদিকে, পদোন্নতিসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা আদায়ে এরই মধ্যে সব সিবিএ ও ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সমন্বয়ে ‘বিএমডিএর কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ’ গঠন করা হয়েছে। 

এর আগে শনিবার বিএমডিএ কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের নেতা-কর্মীরা প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালকের সঙ্গে দেখা করে দাবির কথা জানান। দাবি না মানা হলে রোববার দুপুরের পর থেকে সচিবকে তাঁর কার্যালয়ে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলেও ঘোষণা দেওয়া হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সচিব দেওয়ান মো. আবদুস সামাদ তাঁর গাড়িতে করে গত রোববার বাসায় দুপুরের খাবার খেতে যান। পরে তাঁকে আনতে আর বিএমডিএর গাড়ি যায়নি।

বিএমডিএর সচিব দেওয়ান মোহাম্মদ আবদুস সামাদ জানান, এটি কোনো স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান নয়। কোনো অধ্যাদেশ নয়, কৃষি মন্ত্রণালয়ের একটি রেজুলেশনের মাধ্যমে বরেন্দ্র ও তৎসংলগ্ন এলাকায় পরিকল্পনা ও প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের উদ্দেশে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের যাত্রা শুরু হয়। প্রতিষ্ঠানে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিভিন্ন প্রকল্পে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান। প্রকল্প শেষ তাঁদের চাকরিও শেষ। যাঁরা চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান তাঁরা কখনোই সরকারের জাতীয় স্কেলে বেতন পান না বলেও জানান তিনি।