রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণের মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ পেছাল
রাজধানীর বনানীর রেইনট্রি হোটেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় বাদীর সাক্ষ্য গ্রহণ পিছিয়েছে। আগামী ১৬ অক্টোবর সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আজ রোববার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক জয়শ্রী সমাদ্দার এ দিন ধার্য করেন।
আদালতে সরকারপক্ষের কৌঁসুলি আলী আকবর এনটিভি অনলাইনকে জানান, আজ এ মামলায় বাদীর সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু বাদী আজ অসুস্থ থাকায় এবং আদালতে না আসায় রাষ্ট্রপক্ষ থেকে সময়ের আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক নতুন দিন ধার্য করেন।
আলী আকবর আরো জানান, আজ কারাগার থেকে সাফাত, তাঁর বন্ধু নাঈম আশরাফ, সাদমান সাকিফ, সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন ও দেহরক্ষী আবুল কালাম আজাদকে হাজির করা হয়।
গত ৮ জুন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে সাফাতসহ পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের (ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার) পরিদর্শক ইসমত আরা এ্যানি। এর পরে মামলাটি ঢাকার নারী নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল- ২-এ বদলি হয়ে এলে ১৩ জুলাই বিচারক শফিউল আজম অভিযোগ গঠন করে মামলাটি বিচার শুরুর নির্দেশ দেন।
জন্মদিনের পার্টিতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ এনে গত ৬ মে বনানী থানায় মামলা করেন এক ছাত্রী।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত ২৮ মার্চ রাত ৯টা থেকে পরের দিন সকাল ১০টা পর্যন্ত আসামিরা মামলার বাদী এবং তাঁর বান্ধবী ও বন্ধু শাহরিয়ারকে আটক রাখেন। অস্ত্র দেখিয়ে ভয়-ভীতি প্রদর্শন ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। বাদী ও তাঁর বান্ধবীকে জোর করে ঘরে নিয়ে যান আসামিরা।
বাদীকে সাফাত আহমেদ ও বান্ধবীকে নাঈম আশরাফ ধর্ষণ করেন। আসামি সাদমান সাকিফকে দুই বছর ধরে চেনেন মামলার বাদী। তাঁর মাধ্যমেই ঘটনার ১০-১৫ দিন আগে সাফাতের সঙ্গে দুই ছাত্রীর পরিচয় হয়।
ধর্ষণ মামলার পাঁচ আসামির সবাই বর্তমানে কারাগারে আছেন।