দাউদকান্দিতে আধুনিক নদীবন্দর হবে : নৌমন্ত্রী
নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, কুমিল্লার দাউদকান্দিতে একটি আধুনিক নদী বন্দর গড়ে তোলা হবে। রোববার দাউদকান্দি-হোমনা-রামকৃষ্ণপুর নৌপথের ক্যাপিটাল ড্রেজিং কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
শাজাহান খান বলেন, বিগত সরকারগুলোর অযত্ন ও অবহেলায় দেশের অনেক নদী নাব্যতা হারিয়ে ফেলেছিল; আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে নদীগুলোর নাব্যতা ফিরিয়ে আনা ও খননের কাজ গতিশীল করেছে। সরকার ২০০৯ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ১৪টি ড্রেজার কিনেছে । ২০১৪ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত আরো ২০টি ড্রেজার কেনার কাজ চলছে। এ ছাড়া বেসরকারিভাবে আরো ৫০টি ড্রেজার সংগ্রহ করা হয়েছে। এসব ড্রেজার দিয়ে নদী খননের কাজ চলছে। এ পর্যন্ত ১ হাজার ৩৮০ কিলোমিটার নৌপথ খনন করা হয়েছে। নদী খনন ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য তিনটি এক্সাভেটর কেনা হয়েছে, আরো ছয়টি এক্সাভেটর ক্রয় প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমোডর এম মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ সুবিদ আলী ভূঁইয়া, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কমান্ডার রেজা পাহলভী এবং দাউদকান্দি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মেজর (অব.) মো. আলী সুমন।
শাজাহান খান বলেন, ঢাকার চারদিকে নদী তীরের উচ্ছেদ হওয়া ভূমি পুনরায় যাতে দখল না হয় সেজন্য বুড়িগঙ্গা, তুরাগ ও শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ব্যাংক প্রটেকশনসহ ২০ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। চলতি মেয়াদে আরো ৫০ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে নির্মাণ হবে। পর্যায়ক্রমে ঢাকা শহরের দুই পাশে ২৪০ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হবে।
বিআইডব্লিউটিএর অভ্যন্তরীণ নৌপথে ৫৩টি পথে (প্রথম পর্যায়ে ২৪টি পথ) নদী খনন প্রকল্পের আওতায় দাউদকান্দি-হোমনা-রামকৃষ্ণপুর নৌপথে ৫০ কিলোমিটার ক্যাপিটাল ড্রেজিং করা হবে। এজন্য ব্যয় হবে ৪৪ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। বাংলাদেশ নৌবাহিনী গোমতী, মেঘনা ও তিতাস নদীর দাউদকান্দি-হোমনা-রামকৃষ্ণপুর নৌপথে ১৯ লাখ ঘনমিটার ড্রেজিং করবে। দাউদকান্দি সেতু থেকে হোমনা হয়ে রামকৃষ্ণপুর পযর্ন্ত নৌপথটি ২০০ ফুট প্রশস্ততা ও ১২ ফুট গভীরতায় খনন করা হবে। এতে সারা বছর চার মিটার গভীরতার নৌ-যানগুলো চলাচল করতে পারবে। এ বছরের জুলাই থেকে শুরু হওয়া খনন কাজ ২০১৯ সালের জুনে শেষ হবে। ফলে দাউদকান্দি থেকে হোমনা-রামকৃষ্ণপুর এলাকায় নৌপথে সরাসরি নৌ-যোগাযোগ চালু হবে এবং যোগাযোগও উন্নত হবে।