চার নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত, কক্সবাজারে স্কুল বন্ধ

Looks like you've blocked notifications!
ছবি : এনটিভি

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় অবস্থানরত মৌসুমি নিম্নচাপটি ঘনীভূত হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি বর্তমানে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় অবস্থান করছে।

এ পরিপ্রেক্ষিতে আজ বুধবার রাতে আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত নামিয়ে চার নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
 
এ দিকে পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাতে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক ড. অনুপম সাহা।
 
বৈঠক শেষে ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় অবস্থানরত মৌসুমি নিম্নচাপটি ঘনীভূত হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ায় জেলার উপকূলীয় অঞ্চলের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।’
 
সন্ধ্যা ৬টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নিম্নচাপটি অগ্রসর হয়ে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছিল।

গভীর নিম্নচাপটি আরো ঘণীভূত হয়ে আগামীকাল বৃহস্পতিবার দুপুর বা বিকেলের দিকে চট্টগ্রাম ও বরিশালের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করতে পারে। গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় এবং সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, ভোলা, বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা, খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে তিন থেকে চার ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
 
গভীর নিম্নচাপটি উপকূল অতিক্রমকালে ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণসহ বাতাসের গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৭০ কিলোমিটার। 

উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে অবিলম্বে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।