সেই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির প্রমাণ মিলেছে

Looks like you've blocked notifications!

নীলফামারীর সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) আবদুর রহিমের বিরুদ্ধে রোগীকে শ্লীলতাহানির প্রমাণ পাওয়া গেছে।

গতকাল শনিবার জেলার সিভিল সার্জনের কাছে জমা দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, নীলফামারী সিভিল সার্জন গঠিত দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক, ওয়ার্ডবয়, নার্স, ক্লিনিকের স্টাফ, রোগী ও তাঁর স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত ১৯ জুলাই রাতে দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার বেলাইচণ্ডী ইউনিয়নের সোনাপুকুর এলাকার এক গৃহবধূ পেটের ব্যথা নিয়ে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে যান। সেখানে আবাসিক চিকিৎসক আবদুর রহিমের শরণাপন্ন হন তিনি। ওই সময় আবদুর রহিম রোগীকে শহরের সৈয়দপুর কমিউনিটি হাসপাতালে যেতে বলেন। কথামতো ওই গৃহবধূ সেখানে গেলে আবদুর রহিম তাঁকে প্রায় বিবস্ত্র করে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন এবং অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে শ্লীলতাহানি ঘটান। একপর্যায়ে রোগী ওই কক্ষ থেকে বেরিয়ে ঘটনাটি পরিবারের লোকজনকে জানায়।

পরে পরিবারের লোকজন ও স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষিপ্ত হয়ে চড়াও হন আবদুর রহিমের ওপর। উত্তেজিত লোকজন আরএমও আবদুর রহিমকে মারধর করেন। কিন্তু ওই সময় আরএমও তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেন। সে সময় ওই নারীর স্বামী সৈয়দপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

ওই নারীর স্বামী এনটিভিকে জানান, তীব্র পেটব্যথার কারণে তিনি স্ত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে যান। ওই সময় তাঁর স্ত্রীকে সিটি কমিউনিটি হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক আবদুর রহিম। তিনি জানান, ওই হাসপাতালে তাঁর স্ত্রীকে প্রায় বিবস্ত্র করে আলট্রাসনোগ্রাম করেন আবদুর রহিম। পরে অপারেশনের টেবিলে নিয়ে শ্লীলতাহানি করেন এবং বিয়ের প্রস্তাব দেন।

শ্লীলতাহানির শিকার ওই নারী সাংবাদিকদের জানান, পেটের ব্যথায় যখন তিনি মরণাপন্ন, তখন তাঁকে শ্লীলতাহানি করেন চিকিৎসক। বাধ্য হয়েই বাইরে বেরিয়ে ঘটনাটি পরিবারের লোকজনকে জানান তিনি।

ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নীলফামারী সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সিরাজুল ইসলাম এবং সিভিল সার্জন অফিসের কর্মকর্তা ডা. মনিরুজ্জামান মনিকে সদস্য করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন নীলফামারীর সিভিল সার্জন ডা. আবদুর রশিদ।

তদন্ত কমিটির সদস্য ডা. সিরাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, সবার সঙ্গে কথা বলে অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। এ প্রতিবেদন সিভিল সার্জনের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। তিনি পরবর্তী ব্যবস্থা নেবেন।