রাষ্ট্রপক্ষের ১১ সাক্ষীকে জেরা লিভ টু আপিলের শুনানি কাল

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের ১১ সাক্ষীকে জেরা চেয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার লিভ টু আপিলের শুনানির জন্য আগামীকাল বৃহস্পতিবার দিন নির্ধারণ করেছেন চেম্বার আদালত।
আজ বুধবার সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বিষয়টি শুনানির জন্য আপিলের বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে এ দিন ধার্য করেন।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।
গত ২২ অক্টোবর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের নয়জন সাক্ষীকে জেরা ও দুই সাক্ষীকে পুনরায় জেরা-সংক্রান্ত খালেদা জিয়ার করা আবেদন পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করে দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. শওকত হোসেন ও বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদেশে দুই সাক্ষীর পুনরায় জেরার প্রয়োজন নেই বলেও উল্লেখ করা হয়। হাইকোর্টের ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন খালেদা জিয়া।
দুদকের আইনজীবী জানান, ১১ সাক্ষীর বিষয়ে গত ২৭ জুলাই বিচারিক আদালত খালেদা জিয়ার আবেদন নাকচ করে দেন। পরে দুই সাক্ষীর পুনরায় জেরা এবং নয়জন সাক্ষীর মূল জেরা চেয়ে হাইকোর্ট আবেদন করা হয়। গত ২২ অক্টোবর হাইকোর্ট দুই সাক্ষীর পুনরায় জেরার প্রয়োজন নেই বলে আদেশ দেন। তবে নয়জনের বিষয়ে এ মামলার অপর আসামি বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ক্ষেত্রে যে জেরা করা হয়েছে, তা খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে (অ্যাডপ্ট) বলেছেন আদালত।
এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে আসা দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলাটি দায়ের করে দুদক। ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় এ মামলাটি করা হয়। ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট দুদক আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
অভিযোগপত্রে খালেদা জিয়া, তাঁর বড় ছেলে তারেক রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানকে আসামি করা হয়। এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ অপর আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ অভিযোগ গঠন করা হয়। এ মামলার বিচার এখন শেষ পর্যায়ে রয়েছে।