স্ত্রীর মর্যাদা দাবি কলেজছাত্রীর

Looks like you've blocked notifications!
স্ত্রীর মর্যাদা দাবি করে মাগুরা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আজ রোববার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করেন সরকারি হোসেন শহীদ সোহওয়ার্দী কলেজের স্নাতক শ্রেণির ছাত্রী জান্নাত আরা সোনিয়া। এ সময় তিনি সন্তানের পিতৃপরিচয়ও দাবি করেন। ছবি : এনটিভি

স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মাগুরার এক কলেজছাত্রী। এ সময় তিনি তাঁর সন্তানের পিতৃপরিচয়ও দাবি করেন। আজ রোববার দুপুরে মাগুরা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে সরকারি হোসেন শহীদ সোহওয়ার্দী কলেজের স্নাতক শ্রেণির ছাত্রী জান্নাত আরা সোনিয়া এ দাবি জানান।

লিখিত বক্তব্যে সোনিয়া অভিযোগ করেন, সদর উপজেলার বেলনগর গ্রামের আজিজুল হকের ছেলে এবং একই কলেজের দর্শন বিভাগের স্নাতকোত্তর শ্রেণির ছাত্র হিসাম আহমেদের সঙ্গে তাঁর আট বছর ধরে সম্পর্ক রয়েছে। তাঁরা বিয়ে করে শহরের হাজিসাহেব সড়কে ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছিলেন। বিয়ের পর তাঁদের একটি মেয়েসন্তান হয়। মেয়ে তাসনিন সুলতানা জুঁইয়ের বয়স এখন চার বছর।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সোনিয়া জানান, ২০১০ সালে হিসাম ও তিনি একটি সাদা কাগজে স্বাক্ষরের মাধ্যমে বিয়ে করেন। তারপর তাঁদের সন্তান হয়। এ ছাড়া চলতি বছরের ৭ জুন শহরের ঢাকা বাসস্ট্যান্ড এলাকার মানবাধিকার কমিশনের মধ্যস্থতায় তাঁদের বিয়ের কাবিননামা হয়। শিশু জুঁইয়ের জন্ম হয় ২০১১ সালের অক্টোবর মাসে।

কিছুদিন ধরে হিসাম আহমেদ কোনো যোগাযোগ করছেন না অভিযোগ করে সোনিয়া আরো বলেন, এ অবস্থায় তিনি সন্তানকে নিয়ে হিসামের বেলনগরের বাড়িতে যান। এ সময় হিসাবের পরিবারের সদস্যরা তাঁকে ও তাঁর সন্তানকে অস্বীকার এবং মারধর করেন।

পরে পুলিশ সোনিয়াকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় হিসাম ও তাঁর পরিবারের চারজনের বিরুদ্ধে সদর থানায় যৌতুক ও নারী নির্যাতনের মামলা করেন তিনি। মামলা দায়েরের পর থেকে আসামিরা হুমকি দিয়ে আসছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন সোনিয়া।

এ অভিযোগের ব্যাপারে হিসাম আহমেদের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য না করে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

তবে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সালাউদ্দিন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, বাদী সোনিয়া খাতুনের সঙ্গে ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার জাহাঙ্গীর হোসেন নামের এক শিক্ষকের বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের কয়েক মাস পর তাঁদের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। হিসামের সঙ্গে সোনিয়ার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তবে শিশুটি কার সন্তান এ নিয়ে তদন্ত চলছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সোনিয়া এনটিভি অনলাইনের কাছে দাবি করেন, হিসামের সঙ্গে সম্পর্কের একপর্যায়ে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। পরিবার বিষয়টি জেনে তাঁকে জোর করে ফরিদপুরে বিয়ে দিয়ে দেন। কিন্তু তিনি সেখানে যাননি এবং এক সপ্তাহের মধ্যেই তিনি তালাকনামা পাঠিয়ে দেন।