মিয়ানমারকে চাপ দেওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

Looks like you've blocked notifications!
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সিপিসির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। ছবি : এনটিভি

বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে ও তাদের ওপর নির্যাতন বন্ধে মিয়ানমার সরকারকে চাপ প্রয়োগে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ রোববার সকালে সংসদ ভবন চত্বরে ৬৩তম কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি কনফারেন্সের (সিপিসি) উদ্বোধন অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।

ব্রিটিশ শাসনের অধীনে ছিল এমন ৫২টি দেশের জোট কমনওয়েলথ। তারই পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশনের ৬৩তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে বাংলাদেশে।

সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানের শুরুতেই ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শুভেচ্ছা বক্তব্য পড়ে শোনান বাংলাদেশের স্পিকার ও অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারপারসন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

সম্মেলনের উদ্বোধন করে দেওয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ ধরনের আন্তর্জাতিক সম্মেলন গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও চর্চার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এ সময় বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

‘মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে সাময়িকভাবে আমরা এই বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা নাগরিককে আশ্রয় দিয়েছি। আপনাদের অনুরোধ জানাব, রোহিঙ্গা ইস্যুটি বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনা করবার জন্য মিয়ানমারকে তার নাগরিকদের ওপর নির্যাতন বন্ধ করতে এবং বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে চাপ প্রয়োগ করার জন্য’, বলেন প্রধানমন্ত্রী।

জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। ভবিষ্যতে তা আরো বাড়ারই আশঙ্কা আছে বিশেষজ্ঞদের। তাই এ প্রভাব মোকাবিলায় উন্নত দেশগুলোর দেওয়া সহায়তার প্রতিশ্রুতি দ্রুত বাস্তবায়নের তাগিদ দেন শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে তিনি জঙ্গিবাদ মেকাবিলায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জঙ্গিবাদ আজ আর কোনো নির্দিষ্ট দেশের সমস্যা নয়। এটা বৈশ্বিক সমস্যায় পরিণত হয়েছে। এই কয়েক দিন আগেই নিউইয়র্কের রাস্তায় ট্রাক তুলে দিয়ে আটজন নিরীহ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। এ ধরনের ঘটনা প্রতিনিয়তই চলছে। আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে জঙ্গিবাদ সমস্যার মোকাবিলা করতে হবে।’

‘জলবায়ুর বিরূপ প্রভাবের ফলে আমরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি। এ বছর অতিবৃষ্টিসহ কয়েকবার বন্যার ফলে আমাদের বিশাল জনপদ ভেসে গেছে, ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে ফসলের। জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব মোকাবিলার জন্য যেসব সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, সেগুলোর দ্রুত বাস্তবায়ন আমরা প্রত্যাশা করি।’

এর আগে বাংলাদেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য নিয়ে বিভিন্ন উপস্থাপনা তুলে ধরা হয় পাঁচ শতাধিক অতিথির সামনে।