অবশ্যই রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে পারব : নাসিম

Looks like you've blocked notifications!
চট্টগ্রামে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। ছবি : এনটিভি

স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, ‘সু চি যত কথাই বলুক, এরা মিয়ানমারের নাগরিক। এদেরকে তাঁকে ফিরিয়ে নিতেই হবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘অসুস্থ অবস্থায়ও প্রধানমন্ত্রী নিয়মিত খবর নিচ্ছেন। অবশ্যই রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে পারব।’ 

আজ রোববার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। চট্টগ্রাম বিভাগের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে ওই মতবিনিময় করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। 

স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘ইউরোপের ধনী দেশগুলো এক লাখ শরণার্থীকে আশ্রয় দিতে ভয় পেয়েছে। সেখানে আমরা লাখ লাখ মানুষকে আশ্রয় দিয়েছি।’  

রোহিঙ্গাদের খাদ্য, বাসস্থান এবং স্বাস্থ্যসেবায় গৃহীত পদক্ষেপ তুলে ধরে নাসিম বলেন, ‘সমগ্র দুনিয়া প্রশংসা করেছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘এ বিষয়ে সারা দুনিয়া জেগে উঠেছে শেখ হাসিনার কার্যক্রমের কারণে। আমাদের কূটনৈতিক সাফল্য আছে।’

রোহিঙ্গাদের জন্য যে সহায়তার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তা ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রশংসা পেয়েছে বলেও মন্তব্য করেন নাসিম। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘে যাওয়ার আগে কক্সবাজার গিয়েছেন। জাতিসংঘে গিয়ে রোহিঙ্গাদের কথা বলেছেন।’

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কথা উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘একজন অন্ধ নেত্রী, ওনার বক্তব্য শুনে অবাক হয়ে যাই। আমি বিস্মিত হই। ১৫ মিনিটের জন্য কক্সবাজার গিয়ে উনি সব করে ফেলেছেন। মিথ্যা কথার তো একটা সীমা আছে, উনি সব সীমা ছাড়িয়ে গেছেন। উনি লাগাতার মিথ্যা বলে চলেছেন। এর জবাব জনগণ আগামী নির্বাচনে দিয়ে দেবেন।’

খালেদা জিয়ার বক্তব্যের সমালোচনা করে মন্ত্রী নাসিম বলেন, ‘সবচেয়ে আশ্চর্য ব্যাপার তিনি বললেন, আমরা নাকি কিছুই করিনি। কয়েক মিনিটের জন্য তিনি কক্সবাজার গেলেন। দামি গাড়ির যেন শো দেখলাম আমরা। শত শত গাড়ি। মানবিক মূল্যবোধ থাকলে তিনি সরাসরি কক্সবাজার গিয়ে সাহায্য করতে পারতেন।’

বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে নাসিম বলেন, ‘যে পেট্রল খরচ করে সেখানে গেলেন সেটা তো ত্রাণ হিসেবে দিতে পারতেন। নিজেরাই বক্তৃতায় বলেন সামনে নির্বাচন। প্রচারণার জন্য করেছেন। মানে ত্রাণ গৌণ, স্ট্যান্টবাজি মুখ্য। এটা দায়িত্বশীলতার পরিচয় না।’
 
চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. ইসমাইল, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. হাবিবুর রহমান, চট্টগ্রাম বিভাগের স্বাস্থ্য পরিচালক এ এম মুজিবুল হক, চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন আজিজুর রহমান সিদ্দিকীসহ বিভাগের বিভিন্ন জেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বক্তব্য রাখেন।