এনজিও খুলে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

Looks like you've blocked notifications!

নীলফামারীতে এনজিও খুলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এনজিওতে জমা করা টাকা চাইতে গিয়ে মারধরের শিকার হয়েছে একাধিক গ্রাহক। ঘটনাটি ঘটেছে জেলার ডোমার উপজেলার কেতকীবাড়ি গ্রামে।

জানা গেছে, ওই এলাকার লিটন মিয়া নামের এক ব্যক্তি ‘আশার আলো সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতি লি.’ নামের একটি এনজিও খুলেন। গত বছরের এপ্রিলে ডোমার উপজেলা সমবায় অফিস থেকে এ এনজিওর নিবন্ধন নেওয়া হয়। যার প্রধান কার্যালয় দেখানো হয়েছে কাজীরহাট, ডোমার, নীলফামারী।

কয়েকজন গ্রাহক জানান, সংস্থাটির নিবন্ধন নেওয়ার পর ব্যাংকের ডিপিএস পদ্ধতিতে স্থানীয়দের কাছ থেকে দৈনিক, সাপ্তাহিক ও মাসিক কিস্তিতে টাকা আদায় শুরু করে। লিটন মিয়ার বাবা আতাউর রহমানও এ এনজিওতে দায়িত্ব পালন করেন। দুটি ইউনিয়নে দুজন মাঠকর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়। তাঁরাই দৈনিক ১০ টাকা, সাপ্তাহিক ৫০/১০০ টাকা ও মাসিক ২০০/৫০০ টাকা হারে আমানত সংগ্রহ করেন। এভাবে প্রায় দেড় বছর ধরে তাঁরা সহস্রাধিক গ্রাহকের কাছ থেকে আট লাখেরও বেশি টাকা আদায় করেন।

চান্দখানা গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে রবিউল, আমবাড়ী গ্রামের আব্দুল গনির ছেলে জাহিদসহ একাধিক ভুক্তভোগী জানান, টাকা আদায়ের শুরুতে সংস্থাটির পরিচালক লিটন মিয়া বলেছিলেন, বছরখানেক টাকা সঞ্চয়ের পর তারা ঋণ দেবেন। যেসব গ্রাহকের মেয়াদ পূর্ণ হয়েছে তারা ঋণের জন্য চাপ দিলে আজ-কাল করে সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন। একপর্যায়ে গ্রাহকদের সন্দেহ হলে বেশির ভাগ সঞ্চয়কারী তাদের মূলধন ফেরত চেয়ে চাপ দেওয়া শুরু করে। এতে হঠাৎ করেই তিনি সংস্থার কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেন। এরপর গ্রাহকরা তাদের সঞ্চয়কৃত টাকা ফেরত চাইতে গেলে চান্দখানা গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে বিপুল, জোড়াবাড়ি গ্রামের শহির উদ্দিনের ছেলে শহীদুল, একই গ্রামের আজাদুল, ফুল্লু মিয়ার ছেলে আমিনুর, ফজলুল হকের ছেলে মহব্বতকে লিটন ও তাঁর বাবা আতাউর রহমান মারধর করেন।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে সঠিক বিচার দাবি করেন।

এ অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে অনিয়ম করেননি বলে দাবি করেন সংস্থাটির পরিচালক লিটন মিয়া। তিনি সাংবাদিকদের জানান, কোনো ধরনের মারধরের ঘটনা ঘটেনি। এ ছাড়া বৈধভাবে তাঁর সংস্থাটি খোলা হয়েছিল। আপাতত কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। সময় হলে আবার খোলা হবে। তখন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

ডোমার উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মুজিবুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ ব্যাপারে এখনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’