গর্ভে শিশু গুলিবিদ্ধ, আরো ২ আসামি গ্রেপ্তার

Looks like you've blocked notifications!
মাগুরায় যুবলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে মাতৃগর্ভে শিশু গুলিবিদ্ধ ও একজন নিহতের ঘটনায় মামলায় আজ রোববার রাতে মাগুরা সদর উপজেলার আলমখালী বাসস্ট্যান্ড থেকে ফরিদ হোসেন (৪০) ও মিল্টন হোসেন (২৫) নামের দুই ব্যক্তিকে ডিবি পুলিশ গ্রেপ্তার করে। ছবি : এনটিভি

মাগুরায় যুবলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে মাতৃগর্ভে শিশু গুলিবিদ্ধ ও একজন নিহতের ঘটনায় মামলার আরো দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। তাঁরা হলেন ফরিদ হোসেন (৪০) ও মিল্টন হোসেন (২৫)।

আজ রোববার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাগুরা সদর উপজেলার আলমখালী বাসস্ট্যান্ড থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন আলোচিত এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মো. ইমাউল হক। তিনি জানান, রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকাগামী সুমন পরিবহনের একটি বাস থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

মো. ইমাউল হক বলেন, ‘এ দুই আসামি চুয়াডাঙ্গা থেকে ঢাকা যাচ্ছিল। এজাহারভুক্ত ৬ নম্বর আসামি ফরিদ ও ১২ নম্বর আসামি মিল্টন দোয়ারপাড় এলাকার বাসিন্দা। এ নিয়ে এ মামলার ১৬ আসামির মধ্যে আটজন আটক হয়েছে।’

এদিকে, দুপুরে মাগুরার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম প্রথম আদালত এ মামলার প্রধান আসামি জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সেন সুমনের সাত দিনের হেফাজত (রিমান্ড) মঞ্জুর করেছেন।

আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গত ২৩ জুলাই বিকেলে মাগুরা শহরের দোয়ারপাড়ে যুবলীগকর্মী কামরুল ভূঁইয়ার সঙ্গে যুবলীগকর্মী মহম্মদ আলী ও আজিবরের সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়। এ সময় কামরুলের বড় ভাই বাচ্চু ভূঁইয়ার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী নাজমা বেগম (৩০) ও চাচা মোমিন ভূঁইয়া গুলিবিদ্ধ হন।

ওই রাতেই মাগুরায় অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে নাজমার গুলিবিদ্ধ শিশুটি ভূমিষ্ঠ হয়। পরদিন রাতে মাগুরা সদর হাসপাতালে মোমিন ভূঁইয়া মারা যান। দুদিন পর গুলিবিদ্ধ শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে নাজমাকেও ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়। নাজমা ও তাঁর শিশু এখন সেখানেই চিকিৎসাধীন আছে।

এ ঘটনায় মামলার পর জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সেন সুমন, যুবলীগকর্মী সাগর হোসেন ও বাপ্পী বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার করা হয়।