তারেক মাসুদ-মিশুক মুনীরের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী আজ

Looks like you've blocked notifications!
তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীর। ছবি : সংগৃহীত

আজ ১৩ আগস্ট। বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতের জন্য এক দুঃসংবাদের দিন। ২০১১ সালের এই দিনে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার জোকা এলাকায় এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান তারেক মাসুদ, মিশুক মুনীরসহ পাঁচজন। দেশে ও দেশের বাইরে নিজেদের কাজের মাধ্যমে বাংলাদেশকে পরিচিত করেছিলেন এই দুই গুণী ব্যক্তি।

এদিকে, মর্মান্তিক ওই সড়ক দুর্ঘটনার চার বছর পেরিয়ে গেলেও মামলার নিষ্পত্তি হয়নি। জামিন পেয়ে সেই বাসচালক ফিরে গেছেন মহাসড়কে। দীর্ঘদিনেও মামলার আসামি বাসচালক জামির হোসেনের বিচার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নানা শ্রেণি-পেশার মানুষও। 

মামলাটি ছিল দেশের সড়ক দুর্ঘটনায় আলোচিত একটি মামলা। ২০১২ সালের ২১ মার্চ মামলাটির অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। বাসের চালক জামির হোসেনকে দুর্ঘটনার পরদিন চুয়াডাঙ্গা থেকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরে ২০১১ সালের ১৭ নভেম্বর চালক জামির হোসেন আদালত থেকে জামিনে ছাড়া পান। এ মামলায় মোট ৩৯ সাক্ষীর মধ্যে তারেক মাসুদের স্ত্রী ক্যাথরিন মাসুদ, শিল্পী ঢালী আল-মামুন ও তাঁর স্ত্রী দিলারা বেগম জলিসহ ১১ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।

তাঁদের মধ্যে দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী ব্যোমকেশ সরকার, তারেক মাসুদের সহকারী ফারুক হোসেন ও তাঁর স্ত্রী সাথী সরকার মারা গেছেন।

এ বিষয়ে মামলার সরকারপক্ষের আইনজীবী আফসারুল ইসলাম মনি এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘মামলাটির শুনানির দিন সাক্ষীরা উপস্থিত না হওয়ায় সব সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণে বিলম্ব হচ্ছে। আর সে কারণে মামলাটিও বিলম্বিত হচ্ছে। আগামী ১ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। ওই দিন সাক্ষীরা হাজির হলে মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির দিকে যেতে পারে।’

২০১১ সালের ১৩ আগস্ট মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার সালজানা গ্রামে ‘কাগজের ফুল’ ছবির লোকেশন দেখে ঢাকা ফেরার পথে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে প্রচণ্ড বৃষ্টির মধ্যে তারেক মাসুদ-মিশুক মুনীরদের বহনকারী মাইক্রোবাসের (ঢাকা মেট্রো-চ-১৩-০৩০২) সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা চুয়াডাঙ্গাগামী চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্স পরিবহনের একটি বাসের (ঢাকা মেট্রো-ব-১৪-৪২৮৮) মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।

এতে ঘটনাস্থলেই চিত্রপরিচালক তারেক মাসুদ ও এটিএন নিউজের তৎকালীন প্রধান নির্বাহী ও চিত্রগ্রাহক মিশুক মুনীর, মাইক্রোবাসের চালক মোস্তাফিজুর রহমান, প্রোডাকশন সহকারী মোতাহার হোসেন ওয়াসিম ও জামাল হোসেন নিহত হন।

এ দুর্ঘটনায় তারেক মাসুদের স্ত্রী ক্যাথরিন মাসুদ, শিল্পী ঢালী আল-মামুন ও তাঁর স্ত্রী দিলারা বেগম জলি এবং তারেক মাসুদের সহকারী মনীশ রফিক আহত হন।