বিবেচনার আশ্বাস কানাডার
কানাডা সরকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডের মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি নূর চৌধুরীর হস্তান্তরের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছে।
কানাডা সফররত বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব মো. শহীদুল হকের সঙ্গে এক বৈঠকে দেশটির পররাষ্ট্রবিষয়ক সিনিয়র অ্যাসিসটেন্ট ডেপুটি মন্ত্রী পিটার বোহেম এ কথা বলেন।
আজ সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয় বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা বাসস।
সফররত বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বদানকারী পররাষ্ট্রসচিব সোমবার কানাডার রাজধানী অস্টায়ায় অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত নূর চৌধুরীর প্রত্যাবর্তনের বিষয়টি উত্থাপন করেন। শহীদুল হক দণ্ডপ্রাপ্ত এই পলাতক খুনিকে বাংলাদেশ সরকারের হাতে হস্তান্তরের জন্য কানাডা সরকারকে অনুরোধ জানান।
জবাবে দেশটির পররাষ্ট্রবিষয়ক জ্যেষ্ঠ সহকারী উপমন্ত্রী বলেন, কানাডা সরকার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে পরীক্ষা করে দেখবে।
বৈঠকে তৈরি পোশাক খাতের রূপান্তর, ২০১৩-পরবর্তী উন্নয়ন এজেন্ডা, উগ্রবাদের উত্থান, মৌলবাদ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ও জনগণের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগসহ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সকল বিষয়ে আলোচনা হয়।
পররাষ্ট্রসচিব বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য ভিসা সুবিধা পুনরায় চালুর জন্য কানাডা সরকারকে অনুরোধ জানান।
অপরদিকে কানাডা কমনওয়েলথ ও জাতিসংঘের প্রেক্ষাপটে, নারীর ক্ষমতায়ন, জেন্ডার সমতা ও ২০১৫-পরবর্তী উন্নয়ন এ জেন্ডায় বাংলাদেশের সহযোগিত কামনা করেন।
পরে শহীদুল হক কানাডার সঙ্গে বাংলাদেশের উন্নয়ন অংশীদারিত্বের বিষয়ে দেশটির অ্যাসিসটেন্ট ডেপুটি মন্ত্রী সুসান গ্রেগসনের সঙ্গে বৈঠক করেন। গ্রেগসন বলেন, বাংলাদেশ কানাডার উন্নয়ন সহায়তার আওতাভুক্ত একটি দেশ। বিশেষ করে এই সহায়তা মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য, শিক্ষা, টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি প্রকল্প ইত্যাদি খাতে বিদ্যমান রয়েছে।
এর আগে আজ সকালে পররাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে কানাডার বাণিজ্যবিষয়ক উপমন্ত্রী ক্রিস্টিয়ান হোগানের বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের বর্তমান অবস্থা ও এর সম্প্রসারণ নিয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকে শহীদুল হক বাংলাদেশ থেকে জাহাজ নির্মাণ, হালকা প্রকৌশল, সিরামিক, ওষুধ, ইলেট্রনিকস ও আইটিসহ অন্যান্য পণ্যের রপ্তানি বাড়াতে কানাডা সরকারকে অনুরোধ জানান।
পররাষ্ট্রসচিব বাংলাদেশে বিদ্যমান সৌহার্দ্যপূর্ণ বিনিয়োগ পরিবেশের উল্লেখ করে কানাডার সঙ্গে বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও নিরাপত্তা চুক্তির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
এসব বৈঠকে কানাডায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার কামরুল আহসান ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক মাহফুজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।