ছাত্রলীগকর্মী খুন : প্রণজিতের তথ্যে আঙ্গুর আটক
সিলেটের মদনমোহন কলেজে ছাত্রলীগকর্মী আবদুল আলী হত্যার ঘটনায় আঙ্গুর মিয়া (২০) নামে আরেকজনকে আটক করেছে পুলিশ। এ নিয়ে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজনকে আটক করা হলো। আটক তিনজনই ছাত্রলীগকর্মী বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আটক আঙ্গুর মিয়া একই কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ও দোয়ারাবাজার উপজেলার নেয়ামতপুর গ্রামের বাসিন্দা। এর আগে এ ঘটনায় প্রণজিৎ দাস ও রাহুল কান্তি দেব বসু নামে দুই ছাত্রলীগকর্মীকে আটক করে পুলিশ।
সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) সাজ্জাদুল আলম জানান, প্রণোজিতের দেওয়া তথ্যমতে দোয়ারাবাজার এলাকা থেকে আঙ্গুরকে আটক করা হয়। আটকের পর আঙ্গুরকে নিয়ে এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
গতকাল বুধবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে কলেজ ক্যাম্পাসে আবদুল আলীকে ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুপুর আড়াইটার দিকে তিনি মারা যান।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টায় আবদুল আলীর বাবা আলখাছ মিয়া বাদী হয়ে এ হত্যা মামলা করেছেন। এজাহারে আলখাছ মিয়া পাঁচজনের নাম উল্লেখ করেছেন। এঁরা হলেন সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার দায়মীর থানাগাঁওয়ের প্রণজিৎ দাশ, সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার নিয়ামতপুর গ্রামের মো. আঙ্গুর মিয়া, নগরীর কাজল শাহ এলাকার রাজীব, কলাপাড়ার মাসুদ ও তাকছির। এ ছাড়া মামলায় আরো অজ্ঞাতপরিচয় তিন-চারজনকে আসামি করা হয়েছে।